বাংলাদেশে মনিটরিং সেল: একটি ব্যাখ্যা
বাংলাদেশে ‘মনিটরিং সেল’ শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষিতে ব্যবহৃত হয়, যার ফলে এর অর্থ স্পষ্টভাবে বুঝতে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। এই প্রবন্ধে আমরা দুটি প্রধান প্রেক্ষাপটে মনিটরিং সেলের কার্যক্রম এবং গঠন সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রেক্ষাপট ১: অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন মনিটরিং সেল
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন মনিটরিং সেল গঠিত হয়। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট হিসাবে কাজ করে। এই সেলের গঠন নিম্নরুপ:
- বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (ট্রেড পলিসি ডিভিশন)
- বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান
- বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের উপ-প্রধান
- বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের ২ জন গবেষণা কর্মকর্তা
এই মনিটরিং সেলের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে জাতীয় মনিটরিং কমিটিকে সহযোগিতা প্রদান, মাসিক রিপোর্ট প্রদান, পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ, প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ, পণ্যের চাহিদা ও বিতরণের তথ্য সংগ্রহ এবং সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
প্রেক্ষাপট ২: নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি মনিটরিং সেল গঠন করে। এই সেলে ইসির কর্মকর্তা, প্রশাসন এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিরা সদস্য ছিলেন। সেটি ৬ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর ছিল। আইডিএ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম এর নেতৃত্বে এই সেল গঠিত হয়। এই সেলের প্রধান কার্যক্রম ছিল নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করা এবং ইসিকে তৎক্ষণাৎ অবহিত করা। এই সেল ৭২ ঘণ্টা চালু থাকে এবং প্রতি দেড় ঘন্টা পরপর সারাদেশের পরিস্থিতি কমিশনকে অবহিত করতো।
উপসংহার:
‘মনিটরিং সেল’ শব্দের অর্থ প্রেক্ষিতের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। উপরোক্ত উদাহরণগুলি দেখায় যে এই শব্দটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। আরও বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্ত হলে এই প্রবন্ধ আপডেট করা হবে।