মজুতদার শব্দটি দ্বারা সাধারণত এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝায় যারা অতিরিক্ত পণ্য মজুত করে রাখে এবং পরবর্তীতে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি করে দাম বাড়িয়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করে। এরা প্রায়শই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে এমন কাজ করে, যার ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়।
মজুতদারদের কার্যকলাপ অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস মজুতদারদের প্রধান লক্ষ্য। রমজানের মতো উৎসবের সময় তাদের কার্যকলাপ বেড়ে যায় কারণ এই সময় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়।
ইসলাম ধর্মেও মজুতদারি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। হাদিসে এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ৪০ দিন খাদ্যদ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গুদামজাত করে রাখবে সে আল্লাহর হেফাজত থেকে বেরিয়ে যাবে। অন্যান্য ধর্ম ও দর্শনেও এ ধরনের কাজের নিন্দা রয়েছে।
মজুতদারদের বিরুদ্ধে সরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর মধ্যে অভিযান, জরিমানা এবং অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত। তবে মজুতদারির সম্পূর্ণ নিরসন একটি জটিল সমস্যা, এবং এর জন্য সামাজিক ও আর্থিক ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারী নিয়ন্ত্রণ এবং নৈতিকতার প্রতি গুরুত্ব আরোপের মাধ্যমে মজুতদারি রোধ করা সম্ভব।