মজিদ মিয়া: একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
এই নিবন্ধে ‘মজিদ মিয়া’ নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করতে পারে। তাই, স্পষ্টতার জন্য আমরা এখানে দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ‘মজিদ মিয়া’ নামের ব্যক্তিদের বিবরণ তুলে ধরব।
প্রেক্ষাপট ১: বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ
আবদুল মজিদ (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ২০০৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।
তিনি গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার দাখিনখান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. জনাব আলী এবং মায়ের নাম আয়েশা বেগম আহল্লাদী। তার স্ত্রীর নাম জরিনা বেগম এবং তাদের চার ছেলে ও চার মেয়ে ছিল।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের (ব্যাটালিয়ন) সুবেদার মেজর ছিলেন আবদুল মজিদ। যশোর সেনানিবাসে তিনি কর্মরত ছিলেন, যেখানে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল জলিল ছিলেন অধিনায়ক। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে যশোরের জগদীশপুরে বার্ষিক ফিল্ড এক্সারসাইজে অংশগ্রহণকালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে অবগত হন। ২৫শে মার্চের পর থেকে তিনি ও তার সহযোদ্ধারা যশোর সেনানিবাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে প্রতিরোধযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১১ নম্বর সেক্টরে এবং নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীনে যুদ্ধ করেন।
প্রেক্ষাপট ২: লালসালু উপন্যাসের চরিত্র মজিদ
লালসালু উপন্যাসে, মজিদ একটি কাল্পনিক চরিত্র যার বর্ণনা উপন্যাসের গল্পের সাথে জড়িত। সে একজন ধর্মব্যবসায়ী, ভন্ড, স্বার্থপর এবং শোষক প্রকৃতির ব্যক্তি। উপন্যাসে মজিদ মিয়ার গ্রামে প্রভাব, কুসংস্কার ছড়ানো, স্কুল স্থাপনের বিরোধিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখ রয়েছে। উপন্যাসে তার দুটি স্ত্রী রহিমা এবং জমিলাও বর্ণিত হয়েছে।
উপরোক্ত দুটি প্রেক্ষাপটের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট। প্রথমটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জীবনের বর্ণনা, আর দ্বিতীয়টি একটি কাল্পনিক গল্পের চরিত্র। আমরা যদি আরও তথ্য পাই, তাহলে এই নিবন্ধটি আরও সম্পূর্ণ করা হবে।