ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগ

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:২৫ পিএম

ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য, প্রথমে বুঝতে হবে যে, 'ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগ' একক কোনো সত্তা নয়। এটি একটি বহুস্তরীয় ব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা, চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীরা।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক: ভারতের স্বাস্থ্য নীতি ও কর্মসূচীর নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের এই মন্ত্রকের অধীনে। এটি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্য প্রচারণা, টিকাকরণ, প্রতিরোধমূলক ওষুধ এবং গবেষণা কর্মসূচী সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে। এই মন্ত্রক বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে কাজ করে, যার মধ্যে রয়েছে আইসিএমআর (Indian Council of Medical Research) এবং জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (National AIDS Control Organisation)।

রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ: প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব স্বাস্থ্য বিভাগ রয়েছে, যা রাজ্যের জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের দায়িত্ব পালন করে। এই বিভাগগুলি রাজ্যের বিশেষ চাহিদা অনুযায়ী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে।

স্বাস্থ্য সংস্থা ও গবেষণা: আইসিএমআর ভারতের জৈব-চিকিৎসা গবেষণার একটি প্রধান সংস্থা। এর ছাড়াও অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতে কাজ করে।

বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা: ভারতে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর সংখ্যা ও উল্লেখযোগ্য। তারা বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।

ঐতিহাসিক বিবরণ: ১৯১১ সালে ভারতীয় গবেষণা পুঁজি সংঘ (IRFA) স্থাপিত হয়। ১৯৪৯ সালে এর নাম পরিবর্তন করে ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (ICMR) রাখা হয়। স্বাধীনতার পর ভারত তার জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে এসেছে। তবে গ্রামীণ এলাকায় এখনও অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস এবং অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব কমে গেছে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ: অমৃত কৌর, সুশীলা নায়ার, বি শঙ্করানন্দ, অম্বুমণি রামদোস, গুলাম নবী আজাদ এবং জগৎ প্রকাশ নাড্ডা সহ অনেক উল্লেখযোগ্য মন্ত্রী ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

উল্লেখযোগ্য পরিসংখ্যান: ভারতের জনসংখ্যা বিশাল। রাজ্য ভেদে স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বৈষম্য উল্লেখযোগ্য। শিশুমৃত্যুর হার এবং মাতৃমৃত্যুর হার কমে গেলেও অপুষ্টি এবং বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব এখনও বড় সমস্যা। ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী ইসকেমিক হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ, ডায়ারিয়া এবং শ্বাসনালীর সংক্রমণ সর্বাধিক ড্যালি (DALY) এর কারণ।

স্থান: উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, আসাম, বিহার, মুর্শিদাবাদ (পশ্চিমবঙ্গ), মুম্বাই, কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানের স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্য।

সংস্থা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (কেন্দ্রীয়), বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ, আইসিএমআর, জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থা।

আরও তথ্যের জন্য: আপনার যদি ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে আরও বিস্তারিত জানার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা আপনাকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইট অথবা আইসিএমআরের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করার পরামর্শ দিচ্ছি।

মূল তথ্যাবলী:

  • কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ করে।
  • প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব স্বাস্থ্য বিভাগ রয়েছে।
  • আইসিএমআর ভারতের জৈব-চিকিৎসা গবেষণার প্রধান সংস্থা।
  • বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীরাও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
  • শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, তবে অপুষ্টি এখনও বড় সমস্যা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।