দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক এস আলম গ্রুপের অর্থপাচারের তদন্তের ধারাবাহিকতায়, ১৯ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে সাইফুল আলম ও তার পরিবারের ১২৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রায় ২২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা জমা ছিল বলে জানা গেছে। এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক থেকে অপর্যাপ্ত জামানতের বিপরীতে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড ৩১৬৬ কোটি টাকা ঋণ নিলেও জামানত ছিল মাত্র ১০৪ কোটি টাকা। সোনালী ট্রেডার্স ৩১৪ কোটি টাকার জামানতে ৪৮৯০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। এছাড়াও, পাবনা শাখা, শোব মেহের স্পিনিং মিলস লিমিটেডসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ঋণ অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট অর্থপাচারের প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুদক তদন্ত শুরু করে এবং আপিল বিভাগের নির্দেশে সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় তদন্ত শুরু হয়। ৭ অক্টোবর আদালত সাইফুল আলমসহ ১৩ জনের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আখতার হোসেন জানান, বড় বড় কোম্পানির ঋণ অনিয়মের তথ্য তদন্ত করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান অর্থপাচার ও জবাবদিহিতার অভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানান, এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি ঋণ গ্রহণ করেছিল। তদন্তে ইসলামী ব্যাংকের ১৪টি শাখায় ৪৪টি কোম্পানির ঋণ বিতরণে সমস্যা দেখা গেছে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- এস আলম গ্রুপের ১২৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
- প্রায় ২২ কোটি টাকা জমা ছিল অ্যাকাউন্টগুলিতে
- ইসলামী ব্যাংক থেকে অপর্যাপ্ত জামানতে বিপুল ঋণ গ্রহণের অভিযোগ
- দুদকের তদন্ত চলছে
- আদালতের নির্দেশে অ্যাকাউন্ট জব্দ
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
সাইফুল আলম ও তার পরিবারের ১২৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।