বেক্সিমকো গার্মেন্টস

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:৪১ পিএম

বেক্সিমকো গ্রুপ: বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বহুজাতিক কংগ্লোমারেট

বেক্সিমকো গ্রুপ বাংলাদেশের একটি বিশাল বহুজাতিক কংগ্লোমারেট প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে দুই ভাই, এ.এস.এফ. রহমান এবং সালমান এফ. রহমান, দেশের স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার শুরুতে পাট ব্যবসায় নিয়োজিত থাকলেও পরবর্তীতে বাজার সংস্কারের ফলে তারা বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগ করে বেক্সিমকোকে বহুজাতিক কংগ্লোমারেটে পরিণত করেন।

বেক্সিমকো গ্রুপের কার্যক্রম:

বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে বিভিন্ন শিল্পে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান কাজ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • ঔষধ শিল্প: বেক্সিমকো ফার্মা, যা লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত প্রথম বাংলাদেশী কোম্পানি।
  • টেক্সটাইল: বেক্সিমকো গার্মেন্টসসহ অসংখ্য পোশাক কারখানা।
  • সিরামিক: শাইনপুকুর সিরামিকস।
  • নবায়নযোগ্য শক্তি: তিস্তা সোলার লিমিটেড।
  • খাদ্য ও পানীয়: বেক্সিমকোর অধীনে বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা।
  • মিডিয়া: বেক্সিমকোর অধীনে বিভিন্ন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান।
  • আইসিটি: বেক্সিমকোর অধীনে আইসিটি খাতের সংস্থা।
  • অন্যান্য: রিয়েল এস্টেট, আর্থিক পরিষেবা, ভ্রমণ ও পর্যটন, এলপিজি ইত্যাদি।

বেক্সিমকো গ্রুপ ও রাজনীতি:

বেক্সিমকো গ্রুপের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কথা বিভিন্ন সময় উল্লেখ করা হয়েছে। সালমান এফ রহমান আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন।

সাম্প্রতিক ঘটনা:

২০২৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে বেক্সিমকো গ্রুপ গভীর আর্থিক সংকটে পড়ে। সালমান এফ রহমানের গ্রেফতার এবং বিভিন্ন অভিযোগের জন্য কোম্পানির উপর প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই সংকটের কারণে বেক্সিমকোর অধীনে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যায় এবং হাজার হাজার শ্রমিক চাকরি হারান।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত তথ্য সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য এবং সংবাদ উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। আরো বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্ত হলে এই লেখা পরিবর্তন করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বেক্সিমকো গ্রুপ ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বহুজাতিক কংগ্লোমারেট।
  • ঔষধ, টেক্সটাইল, সিরামিক, নবায়নযোগ্য শক্তি, মিডিয়া, আইসিটি সহ অনেক ক্ষেত্রে এর বিনিয়োগ আছে।
  • আওয়ামী লীগের সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
  • ২০২৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে গ্রুপটি গভীর সংকটে পড়ে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।