বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Busan International Film Festival, BIFF), পূর্বে পুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Pusan International Film Festival, PIFF) নামে পরিচিত, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরের হেউন্দে বীচ সংলগ্ন এলাকায় প্রতি বছর অনুষ্ঠিত একটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসব। ১৯৯৬ সালের ১৩ থেকে ২১ নভেম্বর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই উৎসব, যা কোরিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ছিল। বর্তমানে এটি এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব হিসেবে পরিগণিত।
প্রতি বছর উৎসবে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোকে বিভিন্ন বিভাগে একাধিক পদক দেওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নিউ কারেন্টস অ্যাওয়ার্ড, যা এশীয় পরিচালকদের প্রথম অথবা দ্বিতীয় চলচ্চিত্রের জন্য দেওয়া হয়। ২০০৯ সাল থেকে উৎসবে প্রদর্শিত সেরা চলচ্চিত্রের জন্য ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। কোরীয় ও এশীয় নির্মাতা নির্মিত সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও প্রামান্যচিত্রের জন্যও পৃথক পুরস্কার রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রীকেও পুরস্কৃত করা হয়। বুসান শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র বিষয়ক শিক্ষার্থীরা এই পদকের জন্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করে।
২০১৭ সালে ফাউন্ডিং সদস্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক কিম জিসকের মৃত্যুর পর থেকে কিম জিসক পদকের স্থাপন করা হয়। এই উৎসব বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জন্যও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, আবু শাহেদ ইমন, বিপ্লব সরকার, ইকবাল হোসাইন চৌধুরী এবং রবিউল আলম রবি সহ অসংখ্য বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং পুরস্কার লাভ করেছেন। ২০২৩ সালে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের তিনটি সিনেমা- ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘বলী’ এবং ‘আগন্তুক’-এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও 'সুরাইয়া' নামক চলচ্চিত্র এশিয়ান প্রোজেক্ট মার্কেটে স্থান পায়।