বুরকিনা ফাসো

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বুর্কিনা ফাসো: পশ্চিম আফ্রিকার একটি ভূমিবেষ্টিত দেশ, যা পূর্বে আপার ভোল্টা নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৮৫ সালে এর নামকরণ করা হয় বুর্কিনা ফাসো, যার অর্থ 'নৈতিক মানুষের দেশ'। ওয়াগাদুগু এর রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। দেশটি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছে এবং খরা, দারিদ্র্য ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্মুখীন। বুর্কিনা ফাসোর ভৌগোলিক অবস্থান মালি, নাইজার, বেনিন, টোগো, ঘানা এবং কোত দিভোয়ারের সাথে সীমান্তবর্তী। দেশটির অর্থনীতি মূলত কৃষি ও খনিজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল। তুলা, সোরগোম, জোয়ার, ভুট্টা, চিনাবাদাম, ধান, ম্যাঙ্গানিজ ও স্বর্ণ এর প্রধান রপ্তানি। বুর্কিনা ফাসোর সংস্কৃতি বহুজাতিক, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, ভাষা ও ধর্মের সমন্বয়ে গঠিত। মোসি জাতিগোষ্ঠী দেশটির প্রধান জনসংখ্যা। ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম ও প্রথাগত ধর্ম এখানকার প্রধান ধর্ম। দেশটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে; বহু শতাব্দী আগে মোসি জাতি এখানে রাজ্য স্থাপন করেছিল। স্বাধীনতার পর বারবার সামরিক অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়েও বর্তমানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য এবং সন্ত্রাসবাদ এর বড় সমস্যা।

মূল তথ্যাবলী:

  • বুর্কিনা ফাসো পশ্চিম আফ্রিকার একটি ভূমিবেষ্টিত দেশ।
  • ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
  • ওয়াগাদুগু এর রাজধানী।
  • কৃষি ও খনিজ সম্পদ এর অর্থনীতির ভিত্তি।
  • মোসি জাতিগোষ্ঠী দেশটির প্রধান জনসংখ্যা।
  • দারিদ্র্য, খরা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বড় চ্যালেঞ্জ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।