বিষহারা

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:২০ পিএম

বিষহারা: রাজশাহীর একটি গ্রামের কাহিনী

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিষহারা একটি ছোট গ্রাম, যা সম্প্রতি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর, শুক্রবার দুপুরে এখানকার একটি পানের বরজে আগুন লাগার ঘটনার সাথে জড়িত বিভ্রান্তিকর খবরের কারণে বিষহারা গ্রামের নামটি সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে।

প্রকৃত ঘটনা হলো, মোহনপুর উপজেলার বাগশিমইল ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুরে চার চাষীর প্রায় এক বিঘা জমির পানের বরজে আগুন লেগেছিল। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসে ভুল তথ্য দেওয়া হয়; বলা হয়, বিষহারা এলাকায় হালিমের চায়ের স্টলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভুল তথ্যের দিকে বিষহারায় যাওয়ার সময়, বিদ্যাধরপুরের পানের বরজটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে বিদ্যাধরপুর ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বিষহারা ৯ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দেরীতে পৌঁছানোর কারণে ক্ষতি আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পান চাষিরা। তারা এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

ঘটনার পর, মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রেকর্ড করেছে। তদন্ত চলছে এবং কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। বিষহারা গ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ইত্যাদি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য বর্তমানে উপলব্ধ নয়। তবে, এই ঘটনার ফলে এই ছোট গ্রামটি আলোচনায় উঠে এসেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিষহারা গ্রামে ভুল তথ্যের কারণে ফায়ার সার্ভিসের দেরীতে আগমনের ঘটনা ঘটে।
  • বিদ্যাধরপুরের পানের বরজে আগুনে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
  • পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তদন্ত শুরু করেছে।
  • পান চাষিরা এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বিষহারা

ভুল তথ্য দিয়ে এখানকার হালিমের চায়ের স্টলে আগুন লাগার কথা বলা হয়।

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এই স্থানে চায়ের দোকানে আগুন লেগেছে বলে ভুল তথ্য দেওয়া হয়।