বিজিএমইএ সভাপতি ও গ্যাস সংকট: শিল্পের উৎপাদন ক্ষতি
বাংলাদেশে গ্যাস সংকটের কারণে শিল্প খাতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সিরামিক, ইস্পাত ও টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পের উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। গ্যাস সংকটের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও সাভার এলাকার শিল্প-কারখানায়। এই সংকটের প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ সভাপতি (তার নাম উল্লেখ নেই প্রদত্ত লেখায়) বলেছেন, অনেক কারখানা বিকল্প হিসেবে ব্যয়বহুল এলপিজি ও কয়লা ব্যবহার করছে, যার ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। তবে হবিগঞ্জ ও ভোলা অঞ্চলে পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং এলএনজি আমদানি না বাড়ানোর ফলে এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলেও সভাপতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন ডিভিশন) প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, দৈনিক ২৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে মাত্র ১৫৫০ থেকে ১৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ১৫ পিএসআই চাপের গ্যাসের প্রয়োজন, কিন্তু বর্তমানে তা অর্ধেকেরও কম। এই গ্যাস সংকটের কারণে অনেক কারখানা ডিজেল ব্যবহার করছে, যা উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি করছে। বিভিন্ন শিল্প-কারখানার কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, গ্যাস সংকটে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং সময়মতো পণ্য শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৪২০০ মিলিয়ন ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে ২৭৪১ মিলিয়ন ঘনফুট। বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর সভাপতি জানিয়েছেন, জ্বালানি সংকটে ২০০টি শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং আরো ৩০০টি ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস থাকলেও পাইপলাইন না থাকায় তা ঢাকায় আনা যাচ্ছে না।