প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিজন পাল নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্য থেকে দুটি বিভিন্ন বিজন পাল সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম বিজন পাল নবদ্বীপের একজন খ্যাতনামা মৃৎশিল্পী। দ্বিতীয় বিজন পাল একজন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের শহীদ।
বিজন পাল (মৃৎশিল্পী):
নবদ্বীপের শাক্ত রাস উৎসবের বিখ্যাত মৃৎশিল্পীদের মধ্যে বিজন পাল অন্যতম। নবদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী শাক্ত রাস উৎসবে প্রতিবছর ব্যবহৃত বিশাল বিশাল মৃন্ময়ী মূর্তি নির্মাণে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে রাজা গিরীশচন্দ্রের পোষকতায় প্রবর্তিত রাস উৎসবের মূর্তি নির্মাণে নবদ্বীপের অন্যান্য খ্যাতনামা মৃৎশিল্পীদের মধ্যে সন্দু পাল, ফন্তে পাল, বেঁটে পাল, নানু পাল, জগদীশ বিশ্বাস, রমেন পাল (জুনিয়র), প্রদীপ৷ দাস, নাড়গোপাল দাস, অচিন পাল, ললিত পাল, কান্তি পাল, শিবু পাল, কাশীনাথ পাল, হাজারী পাল, বলাই পাল, কালী পাল, ধর্ম পাল, প্রশান্ত পাল, গৌরাঙ্গ পাল, দেবাশিস পাল ,গৌতম সাহা প্রমুখদের নাম উল্লেখযোগ্য। বিজন পালের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ সম্পর্কে আমাদের কাছে বর্তমানে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। আমরা ভবিষ্যতে এই তথ্য সংযোজন করব।
বিজন পাল (স্বাধীনতা সংগ্রামী):
বিজন সেন (১৯০৫-২৪ এপ্রিল ১৯৫০) একজন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শহীদ। তিনি নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন। সশস্ত্র আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে তিনি রাজনৈতিক ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিলেন এবং পুঁটিয়ামেল ডাকাতির অভিযোগে আন্দামান সেলুলার জেলে দ্বীপান্তরিত হন। মুক্তির পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং দেশ বিভাগের পরেও মাতৃভূমি পরিত্যাগ করেননি। তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন এবং মূলত নির্মাণ শ্রমিকদের সংগঠনের কাছে জড়িত ছিলেন। কৃষক আন্দোলনে যোগ দিয়ে বন্দী হন। ২৪ এপ্রিল ১৯৫০ তারিখে রাজশাহী সেন্ট্রাল জেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।