বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি): একটি বিস্তারিত বিবরণ
২০০৬ সালে বরিশাল মহানগর এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে ‘বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ২০০৬’ এর মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করে। বিএমপির আওতায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং বাবুগঞ্জ উপজেলার ২.৫টি ইউনিয়ন (মাধবপাশা, রায়পাশা এবং রহমতপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ) রয়েছে।
বিএমপির প্রশাসনিক কাঠামো:
বিএমপির অধীনে ৪টি থানা (কোতয়ালী মডেল থানা, বন্দর থানা, কাউনিয়া থানা, এয়ারপোর্ট থানা), ৪টি ফাড়ি (আলেকান্দা, বগুড়া, আমানতগঞ্জ, স্টীমারঘাট) এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। প্রায় ৪৪৭.০২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিএমপি জনসাধারণের সেবা প্রদান করে।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও ব্যক্তিবর্গ:
বিএমপির ইতিহাসে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে যেমন, ২০১১ সালে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষ, ২০১৪ সালে বরিশাল হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ, ২০১৫ সালে দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকজন কর্মকর্তার নिलম্বন, এবং সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে বিএমপির কর্মকর্তারা এবং ছাত্র ও জনসাধারণের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। করোনা মহামারীর সময় বিএমপি অক্সিজেন সরবরাহ করে সহায়তা করেছে। বিএমপির কমিশনারদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম উল্লেখযোগ্য।
অন্যান্য তথ্য:
বিএমপি’র জনগোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগের জন্য ‘বিডি পুলিশ হেল্পলাইন অ্যাপস’ এবং ‘হ্যালো বিএমপি অ্যাপস’ কাজ করে। বিভিন্ন সময় নতুন থানা স্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে, তবে এখনও অনুমোদন হয়নি।
আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিবে। ভবিষ্যতে আরও তথ্য পাওয়া গেলে, এই প্রবন্ধটি আরও সমৃদ্ধ করা হবে।