বারৈয়াঢালা: একটি বিস্তারিত ঝলক
বারৈয়াঢালা নামটি দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়: একটি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার একটি ইউনিয়ন এবং অপরটি চট্টগ্রাম জেলার একটি জাতীয় উদ্যান। এই নিবন্ধে আমরা উভয় বারৈয়াঢালার বিষয়ে আলোচনা করব।
বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন:
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার অন্তর্গত বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন ৬৭৩৮ একর (২৭.২৭ বর্গ কিলোমিটার) আয়তনের একটি প্রশাসনিক ইউনিয়ন। ২০০১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখানকার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৩৬,০০০ জন। সাক্ষরতার হার ৫১.১৭%। এই ইউনিয়নটি সীতাকুণ্ড উপজেলার সর্বোত্তরে অবস্থিত এবং উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে। এই ইউনিয়নটি ১২টি মৌজায় বিভক্ত এবং ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা এবং ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ (বড়টাকি স্টেশন) এই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধান অংশ। নোহাট খোলা খাল এবং বদরখালী খাল এই ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ছোট দারোগাহাট এবং বড় দারোগাহাট এর দুটি প্রধান বাজার।
বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান:
২৯৩৩.৬১ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলার একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত এই উদ্যানটি ঢাকা থেকে প্রায় ২৫০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এই উদ্যানের নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। যানবাহন, রেল, এবং স্থানীয় পরিবহনের মাধ্যমে এই উদ্যানে পৌঁছানো যায়। উদ্যানের আশেপাশে থাকার ব্যবস্থা সীমিত, তবে স্থানীয় হোটেল ও বাসস্থান উপলব্ধ।
আশা করি, এই তথ্য বারৈয়াঢালার সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।