বনী ইসরাঈল: কুরআন ও ইতিহাসের আলোকে
বনী ইসরাঈল শব্দটি ইব্রাহিম (আঃ) এর বংশধরদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কুরআনের সূরা আল-ইসরা (সূরা বনী ইসরাঈল নামেও পরিচিত) এবং অন্যান্য স্থানে বনী ইসরাঈলদের ইতিহাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। এ সূরা মূলত মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে, যদিও কিছু আয়াত মাদানী বলে মনে করা হয়।
সূরা আল-ইসরা এর ১১১ টি আয়াতে মুহাম্মদ (সাঃ) এর মিরাজের ঘটনা, পিতা-মাতার ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সদ্ব্যবহার, এতিমদের অধিকার, ওয়াদা পালনের গুরুত্ব, নামাজের আদেশ, রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন, পরকালে বিশ্বাস এবং বনী ইসরাঈলদের ইতিহাসের কিছু ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।
বনী ইসরাঈলের ইতিহাস কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনায় তাদের উত্থান-পতন, আল্লাহর অনুগ্রহ ও শাস্তি, নবীদের সাথে তাদের সম্পর্ক, এবং আল্লাহর বিধান অমান্য করার ফলে তাদের উপর নেমে আসা বিপর্যয় উল্লেখযোগ্য।
সূরাটিতে নূহ (আঃ), মুসা (আঃ) এবং দাউদ (আঃ) এর সাথে বনী ইসরাঈলদের সম্পর্ক ও ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। বিশেষ করে মুসা (আঃ) ও ফিরাউনের ঘটনা, বনী ইসরাঈলদের দুবার পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ও অহংকারের শাস্তি, এবং তাদের কিবলা পরিবর্তন সম্পর্কিত অন্যান্য ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।
কুরআন মুসলমানদেরকে বনী ইসরাঈলদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার দিকে উৎসাহিত করে। সূরা আল-ইসরার আয়াতগুলোর তাফসীর বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, এ নিবন্ধটি বনী ইসরাঈল সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান প্ৰদানে সহায়ক হবে। বিস্তারিত জ্ঞানের জন্য তাফসীর গ্রন্থ ও ইসলামী ইতিহাসের উপর নির্ভর করা উচিত।