বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি): দেশের বিদ্যুৎ খাতের অগ্রদূত
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থা। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থানের পর, দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিপিডিবি দেশের বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, এবং প্রধানত নগরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব পালন করে। বর্তমানে, এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
বিপিডিবি'র ইতিহাস:
বাংলাদেশে বিদ্যুতের ব্যবহারের ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ কোম্পানি ‘ডেভকো’ ঢাকায় সীমিত আকারে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করে। ১৯৩৩ সালে তারা ঢাকার পরীবাগে প্রায় ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ‘ধানমণ্ডি পাওয়ার হাউজ’ স্থাপন করে। বিপিডিবি'র পূর্বসূরি ছিল পাকিস্তানের পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ওয়াপদা)। ১৯৭২ সালে ওয়াপদা থেকে পৃথক হয়ে বিপিডিবি গঠিত হয়। পরে বিপিডিবি থেকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই অথরিটি (ডেসা) গঠিত হয়। ডেসা থেকে পরবর্তীতে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) গঠিত হয়।
বর্তমান অবস্থা:
বিপিডিবি বর্তমানে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের মাতৃ সংস্থা। ২০১০ সালের জুনে বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে ৫,৮২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল। ২০১১ সালে পাবলিক সেক্টরের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে ১৭০৭৯ জিওএইচ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। বেসরকারি খাত থেকে আরও ১১৩২৭ জিওএইচ বিদ্যুৎ ক্রয় করা হয়। ২০২৩ সালে গ্রাহক সহায়তার জন্য ১৬২০০ নম্বর হটলাইন চালু করা হয়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:
বর্তমানে বিপিডিবি'র চেয়ারম্যান হলেন প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম।
স্থান:
বিপিডিবি'র প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বিতরণ কেন্দ্র দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।
অন্যান্য তথ্য:
বিপিডিবি'র কার্যক্রম, পরিসংখ্যান, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হলে আমরা পরবর্তীতে আপডেট করবো।