বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতা তুলে ধরা হয়। ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ: তরুণ চিকিৎসকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এই কর্মশালায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি যৌথভাবে আয়োজন করে। কর্মশালায় বলা হয়, বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এর ছয়টি ধারায় দুর্বলতা রয়েছে। এই দুর্বলতাগুলো হলো- পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা এবং বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারক কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং তিনি উল্লেখ করেন যে তামাক ব্যবহারজনিত কারণে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মারা যায়। তিনি আইন সংশোধনের জোর দাবি জানান। অন্যান্য বক্তা ই-সিগারেটের ক্ষতিকারক প্রভাব এবং তামাক কোম্পানির বিভিন্ন অপকৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেন। কর্মশালায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রী কিডসের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির মিলনায়তনে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতা তুলে ধরা হয়
  • প্রতিবছর তামাকের কারণে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়
  • ই-সিগারেটের ক্ষতিকারক প্রভাব তুলে ধরা হয়
  • আইন সংশোধনের দাবি জানানো হয়