বসুন্ধরা পেপার মিলসের ৩১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২০২৪ সালের ২৪শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টারস এবং ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় জানানো হয়, বসুন্ধরা পেপার মিলস ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে আগের বছরের তুলনায় ২১.৩৮ শতাংশ বেশি, প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। তবে একই সময়ে, কোম্পানির মোট আয় ২.৪৫ শতাংশ এবং নিট আয় ৫৭.৯১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১৯.১৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এই হ্রাসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় কাচামালের আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যয় বৃদ্ধি, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পাল্পের দাম বৃদ্ধি। তবুও, কোম্পানিটি ৬২৮৫.৩৩ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করেছে এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১৭১ কোটি টাকা কর প্রদান করেছে।
এজিএমে কোম্পানির বিকল্প পরিচালক এ. আর. রশীদি সভাপতির ভূমিকায় ছিলেন। তিনি সভায় উল্লেখ করেন যে, কাগজ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও কাচামাল আমদানির উপর নির্ভরশীল। তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। সভায় বসুন্ধরা পেপার মিলস পিএলসি নামকরণও অনুমোদিত হয়। এছাড়াও, গত অর্থবছরের জন্য কোন লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়নি। সভায় বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।