বরিশাল মহানগর পুলিশ (বিএমপি) বাংলাদেশ পুলিশের অধীন একটি মহানগর পুলিশ ইউনিট, যা বরিশাল মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০০৯ সালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়।
বিএমপি'র ভৌগোলিক এলাকা বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এবং বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং বাবুগঞ্জ উপজেলার ২.৫ ইউনিয়ন (মাধবপাশা, রায়পাশা ও রহমতপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ) নিয়ে প্রায় ৪৪৭.০২ বর্গ কিমি আয়তন জুড়ে বিস্তৃত। এই এলাকায় ৪টি থানা, ৪টি ফাঁড়ি এবং একটি ক্যাম্প রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে একটি থানা (কোতয়ালী মডেল থানা) নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে বন্দর, কাউনিয়া ও এয়ারপোর্ট থানা যুক্ত হয়। ফাঁড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে আলেকান্দা, বগুড়া, আমানতগঞ্জ ও স্টীমারঘাট। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পও বিএমপির অধীনে কাজ করে।
দুর্নীতি, মাদক সংশ্লিষ্টতা, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগে জড়িত থাকার কারণে গত দুই বছরে ৪১২ জন পুলিশ সদস্যকে (যার মধ্যে ১৭৩ জন বিএমপি'র সদস্য) বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের জনবল সংকটের কারণে কয়েকটি অতিরিক্ত কমিশনার ও উপ-কমিশনার পদ শূণ্য রয়েছে। মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আরও থানা প্রতিষ্ঠার দাবী উঠেছে। বিএমপি'র কমিশনার জানিয়েছেন যে, তারা শহরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। অতিরিক্ত তথ্য প্রাপ্ত হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করবো।