বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল: এক অসম্পূর্ণ স্বপ্ন

বরগুনা জেলার চিকিৎসা সেবার প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ২৫০ শয্যার বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল। প্রায় ১২ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার আশায় দাঁড়িয়ে থাকা এই হাসপাতালটি আজও পূর্ণতা পায়নি। উদ্বোধনের চার বছর পরও জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে এটি পুরোপুরি কার্যকর হতে পারেনি।

১৯৮৩ সালে ৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৭ সালে এটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১০ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের ঘোষণা দেন এবং ২০১৮ সালে নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু ৯ বছর ধরে নির্মাণাধীন সাত তলা ভবনটি ২০২১ সালের জুনে হস্তান্তর করা হলেও জনবল সংকট ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।

বর্তমানে ১০০ শয্যার জীর্ণ ভবনেই ১১ জন চিকিৎসক নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। প্রয়োজনীয় জনবলের এক-চতুর্থাংশও নেই এখানে। চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ বিভিন্ন পদ শূন্য রয়েছে। ২৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় ২৫১ জন কর্মীর পদ সৃষ্টি করা হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে টানাপোড়েনের কারণে অগ্রগতি হয়নি।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বরগুনা কার্যালয় ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করে। ৩০ মাসের কাজ ৯ বছরে শেষ হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের আহবায়ক মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু স্বাস্থ্য বিভাগের তদারকির অভাব ও ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে নির্মাণ কাজ দীর্ঘায়িত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।

ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমিত জনবল নিয়ে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তবে পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম না থাকার কারণে ২৫০ শয্যায় হাসপাতালটি পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থার পরিবর্তন এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা শুরু করার দাবি উঠেছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য: এই প্রতিবেদনটি প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। অতিরিক্ত তথ্য পাওয়া গেলে প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২৫০ শয্যার বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল উদ্বোধনের পরও জনবল ও সরঞ্জামের অভাবে পুরোপুরি কার্যকর নয়।
  • ১৯৮৩ সালে ৫০ শয্যায় শুরু, ১৯৯৭ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত।
  • ২০১৮ সালে নতুন ভবন উদ্বোধন, কিন্তু পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু হয়নি।
  • জনবল সংকট, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে টানাপোড়েনের কারণে হাসপাতালটি পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হচ্ছে না।
  • ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সীমিত জনবল নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল

৫ জানুয়ারী ২০২৫

ফারিয়ার মৃত্যু হয় এই হাসপাতালে।

২৪/১২/২০২৪

নবজাতককে এ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।