বনভূমি দখলমুক্তকরণ: সাম্প্রতিক অভিযান ও উল্লেখযোগ্য ঘটনা
বাংলাদেশে বনভূমি রক্ষায় এবং অবৈধ দখলমুক্তকরণে সরকারের নানা উদ্যোগ চোখে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যাতে ব্যাপক পরিমাণ বনভূমি অবৈধ দখলমুক্ত হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আমরা সেই অভিযানগুলি এবং তাদের সাথে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবো।
টাঙ্গাইলের অভিযান: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা বিটে গত ২৬ ডিসেম্বর একটি যৌথ অভিযানে ১ হেক্টর বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বন বিভাগ এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে ৭টি অবৈধ ঘর এবং ২টি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করা হয়। দখলমুক্ত হওয়া ভূমির বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গাজীপুরে ব্যাপক অভিযান: গাজীপুরেও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বিটে ২৩ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬ একর বনভূমি জবরদখলমুক্ত করা হয়। এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বাজারমূল্যের দুই শতাধিক নির্মাণাধীন ও সদ্য নির্মিত ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে বন বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়াও, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর পূর্ব বিটে ২৬ নভেম্বর অনুরূপ অভিযানে প্রায় ৬ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয় এবং ১২০ টি অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। এর বাজারমূল্যও প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এই অভিযানেও জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, বন বিভাগ এবং পুলিশ অংশ নেয়।
অন্যান্য অভিযান: এছাড়াও, সাভারে অবৈধ সীসা কারখানা বন্ধ এবং মোহাম্মদপুরে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
উদ্দেশ্য: বনভূমি দখলমুক্তকরণের এই অভিযানগুলির মূল উদ্দেশ্য হলো বনভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা এবং পরিবেশ দূষণ রোধ করা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: বনভূমি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।