রাজশাহী অঞ্চলের ঐতিহাসিক বড়কুঠি: রাজশাহী শহরের সর্বপ্রাচীন ইমারতগুলোর মধ্যে অন্যতম হল বড়কুঠি। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নির্মিত এই দুইতলা ইটের ভবনটি প্রথমে ওলন্দাজ বা ডাচ ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। রেশম ও নীলের ব্যবসায় ব্যবহৃত এই ভবনটিতে জরুরী অবস্থায় দুর্গ হিসেবেও ব্যবহার করা হত। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ডাচরা তাদের বাণিজ্য কেন্দ্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করে এবং ১৮৩৩ সাল পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এটি ব্যবহার করে। ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বড়কুঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রশাসনিক ভবন হিসাবে কাজ করে। পদ্মা নদীর তীরে, রাজশাহী কলেজের দক্ষিণে অবস্থিত এই ভবনের দৈর্ঘ্য ২৪ মিটার এবং প্রস্থ ১৭.৩৭ মিটার। বিভিন্ন আকারের মোট ১২টি কক্ষ বিশিষ্ট এই ভবনে একটি বড় সভাকক্ষও রয়েছে। বর্তমানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংরক্ষিত ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে বড়কুঠি সংরক্ষিত এবং জাদুঘরে রূপান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে তিনটি পুরানো কামান রাজশাহী পুলিশ লাইনে সংরক্ষিত আছে। তবে, সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ঐতিহাসিক বড়কুঠি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছে।
বড়কুঠি
আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:০৮ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৮ শতকের প্রথমার্ধে নির্মিত
- প্রথমে ডাচদের ব্যবসা কেন্দ্র
- ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন
- বর্তমানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংরক্ষিত
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।