বাংলাদেশে ফ্যাক্টচেকিংয়ের গুরুত্ব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবাধ ব্যবহারের ফলে মিথ্যা তথ্য ও গুজবের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে। এই প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি ফ্যাক্টচেকিংয়ের কাজে নিয়োজিত। তাদের কাজের মূল উদ্দেশ্য হলো ভুল তথ্য, গুজব এবং ভ্রান্ত ধারণাগুলোর সত্যতা যাচাই করে সঠিক তথ্য জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
এই কাজে নিয়োজিত অনেক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে 'যাচাই' এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্টস। এই সংগঠনগুলো নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন তথ্য ও ছবির সত্যতা যাচাই করে জনসাধারণকে সঠিক তথ্য প্রদান করে। তাদের কাজে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যন্ত বিস্তৃত একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠী উপকৃত হয়। এছাড়াও, বিভিন্ন গণমাধ্যমও ফ্যাক্টচেকিংয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ফ্যাক্টচেকিংয়ের কাজে প্রযুক্তি ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছবির সত্যতা যাচাই, ভিডিও অ্যানালিসিস, এবং বিভিন্ন ডাটাবেজের তথ্য পরীক্ষা করার মাধ্যমে তারা তথ্যের যথার্থতা নির্ণয় করে। অন্যান্য দেশেও ফ্যাক্টচেকিংয়ের অনুশীলন ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
২০২৩ সালে বিভিন্ন ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম বিভিন্ন ঘটনার তথ্য যাচাই করেছে যার মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া গান ও ভিডিও, বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা এবং রাজনৈতিক ঘটনার তথ্য উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি ফ্যাক্টচেক প্রক্রিয়া সাবধানতার সাথে এবং তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উৎসের তথ্য ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়। যদিও ফ্যাক্টচেকিং কাজে সঠিক তথ্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়, তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা দেওয়া কঠিন হতে পারে।
আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা এই প্রতিবেদনটি আরও সমৃদ্ধ করতে পারব।