ফুলতলা খেয়াঘাট

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:০৯ এএম

ফুলতলা উপজেলার খেয়াঘাট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো। ফুলতলা উপজেলা, খুলনা বিভাগের অন্তর্গত। এই উপজেলাটি ১৯৮৩ সালের ২ জুলাই স্থাপিত হয়। এর আয়তন ৭৪.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে অভয়নগর (যশোর), দক্ষিণে দিঘলিয়া ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন, পূর্বে অভয়নগর এবং পশ্চিমে ডুমুরিয়া উপজেলা অবস্থিত। ফুলতলা উপজেলার জনসংখ্যা ১,৩৩,৩৭৪ জন; এর মধ্যে পুরুষ ৬৭,৫১৩ জন এবং মহিলা ৬৫,৮৬১ জন। এখানে ৩৮টি গ্রাম, ৪টি ইউনিয়ন (আটরা-গিলাতলা, দামোদর, জামিরা, ফুলতলা) এবং ২৪টি মৌজা রয়েছে। উপজেলাটিতে ২টি থানা (ফুলতলা ও খান জাহান আলী থানা আংশিকভাবে) রয়েছে। ভৈরব নদী এই উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯৬টি (প্রাথমিক ৫৬, মাধ্যমিক ২৭, কলেজ ১১)। হাট-বাজারের সংখ্যা ৮টি। খেয়াঘাট/ফেরি ঘাটের সংখ্যা ৯/১১টি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। জুট মিলের সংখ্যা ১০টি। এছাড়াও, উপজেলায় সার কারখানা, প্যাকেজিং কারখানা, লবণ কারখানা, অন্যান্য কারখানা, বিসিক শিল্পনগরী, বিকেএসপি এর আঞ্চলিক কার্যালয়, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফায়ার স্টেশন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলার ঐতিহাসিক-দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স, শিরোমণি যুদ্ধক্ষেত্র, জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট, বনবিলাশ চিড়িয়াখানা, গিলাতলা শিশুপার্ক, খানজাহান আলী মসজিদ, মিলিটারী কলেজিয়েট স্কুল এবং বুড়ো ফকিরের মাজার উল্লেখযোগ্য। ফুলতলা উপজেলায় সড়ক পথ, রেল পথ ও নৌপথ বিদ্যমান। উপজেলার অর্থনীতিতে জুট মিল, নার্সারী শিল্প, পাপড় ও গামছা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। চিংড়ি ও জুট রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন হয়। উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান ২২°০৬´ থেকে ২৩° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৫´ থেকে ৮৯°৩৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • ফুলতলা উপজেলা, খুলনায় অবস্থিত
  • ১৯৮৩ সালে স্থাপিত
  • জনসংখ্যা ১,৩৩,৩৭৪
  • ৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • ১০টি জুট মিল
  • বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ফুলতলা খেয়াঘাট

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

এই স্থানে পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ার ফলে নৌকা চলাচলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।