ফিরোজা খাতুন: বাংলাদেশের একজন অসাধারণ ক্রীড়াবিদ
ফিরোজা খাতুন বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন স্মরণীয় নারী ক্রীড়াবিদ। তিনি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দশ বার বাংলাদেশের দ্রুততম নারী অ্যাথলেট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার এই অসামান্য অবদানের জন্য ২০২৪ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও, ২০১২ সালে তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার লাভ করেন।
ফিরোজার জন্ম ৪ জানুয়ারী ১৯৬৯ সালে। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনে (বিটিএমসি) কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন থেকে অবসর নেন। তার ক্রীড়া জীবনের শুরু ঘোড়াশালে। জাতীয় পর্যায়ে তিনি ২০০ মিটার স্প্রিন্ট ও ১০০ মিটার হার্ডলে স্বর্ণপদক এবং উচ্চলম্ফ ও দীর্ঘলম্ফে রৌপ্য পদক জয় করেন। তিনি ১৯৯১ এবং ১৯৯৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও অংশগ্রহণ করেন। তার মেয়ের নাম আফনান রোজানা। বর্তমানে ফিরোজা খাতুন ময়মনসিংহে বসবাস করেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, তিনি একটি রোলার স্কেটিং একাডেমির সাথেও যুক্ত আছেন।
ফিরোজা খাতুনের ক্রীড়া জীবন সহজ ছিল না। তিনি সমাজের নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তিনি তার ক্যারিয়ারে সফলতার মধ্য দিয়ে সেসব প্রতিকূলতাকে জয় করেছেন। তিনি আশা করেন, তার মেয়েও তার পথ অনুসরণ করে একজন সফল ক্রীড়াবিদ হবে।