ফারুক আহাম্মদ: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
"ফারুক আহাম্মদ" নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। এই লেখায় আমরা দুইজন ফারুক আহাম্মদের জীবনী সংক্ষেপে তুলে ধরব। প্রথম ফারুক আহাম্মদ মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, আর দ্বিতীয় ফারুক আহাম্মদ একজন প্রখ্যাত ক্রিকেটার এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি।
ফারুক-ই-আজম (মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি উপদেষ্টা):
ফারুক-ই-আজম বাংলাদেশের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফরহাদাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিম্নবিত্ত পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে উঠে তিনি ১৯৬৬ সালে হাটহাজারীর কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, বিশেষ করে 'অপারেশন জ্যাকপট'-এ। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং '১৯৭১ যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথা' শীর্ষক একটি বই লিখেছেন। তিনি ২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ফারুক আহমেদ (ক্রিকেটার ও বিসিবি সভাপতি):
ফারুক আহমেদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন। ডানহাতি মাঝারি সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল অধিনায়ক ছিলেন এবং ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কও ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের পর তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রশাসক এবং জাতীয় দল নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের আগস্টে তিনি বিসিবি’র সভাপতি নির্বাচিত হন।
যেহেতু দুইজন ফারুক আহাম্মদের তথ্য একই সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাই আরও বিস্তারিত জানার জন্য আলাদাভাবে তাদের জীবনী অনুসন্ধান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।