রাজশাহীর শীতার্ত মানুষ ও কম্বল বিতরণ: উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ লতিফের ভূমিকা
রাজশাহীতে তীব্র শীতের প্রকোপে অসহায় হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। গরম কাপড়ের অভাবে মানুষ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। সরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য কম্বল বরাদ্দ হলেও বিতরণে বিলম্বের কারণে মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এই পরিস্থিতির একটা ঝলক পাওয়া যায়। উপজেলায় ২৬০০ পিস কম্বল বরাদ্দ হলেও হতদরিদ্র মানুষের কাছে তা পৌঁছাতে পারেনি। চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, ৫০ হাজারেরও বেশি জনসংখ্যার ইউনিয়নে মাত্র ৩০০ পিস কম্বল বরাদ্দ হয়েছে এবং এখনো কম্বল আসেনি। ইউসুফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মাখনও একই ধরনের অসুবিধার কথা জানান।
এই পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ইউপিআইও) ফরহাদ লতিফের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তিনি জানান, দুই সপ্তাহ আগে কম্বলের বরাদ্দ পেয়েছেন। এতিমখানাসহ কিছু স্থানে প্রায় ৫০০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং ইউনিয়ন প্রতি ৩০০ পিস হারে কম্বল বিতরণের কাজ চলছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দীন আল ওয়াদুদ জানান, পুরো জেলার জন্য ১০ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। এছাড়া ৭৮ লাখ টাকা বরাদ্দে আরও ৩৫ হাজার কম্বল কেনা হয়েছে। এগুলো বিতরণের জন্য ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, কম্বলের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
সার্বিকভাবে, রাজশাহীর শীতার্ত মানুষের দুর্দশার একটা ছবি তুলে ধরে এই প্রতিবেদন। ফরহাদ লতিফসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে।