রাজা প্রমদানাথ রায়: দীঘাপতিয়া রাজবংশের এক স্মরণীয় অধ্যায়
দীঘাপতিয়া রাজবংশ, বর্তমান বাংলাদেশের নাটোর জেলার একটি প্রাচীন জমিদার বংশ। এই রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা ছিলেন প্রমদানাথ রায়। তিনি ১৮৭৬ সালের জানুয়ারীতে দীঘাপতিয়ার রাজপ্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন রাজা প্রমথনাথ রায়। শৈশবেই পিতার মৃত্যুর কারণে ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত দীঘাপতিয়া জমিদারি কোর্ট অফ ওয়ার্ডসের তত্ত্বাবধানে ছিল। ১৮৯৪ সালের ২৯ জানুয়ারি সাবালক হওয়ার পর তিনি জমিদারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে 'রাজা' উপাধিতে ভূষিত করে।
রাজা প্রমদানাথ রায় ছিলেন একজন বিদ্যোৎসাহী ও দাতা। তিনি রাজশাহী কলেজে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ করেন এবং ছাত্রদের জন্য বেশ কিছু বৃত্তি প্রবর্তন করেন। দীঘাপতিয়ার বিদ্যালয় ও রাজশাহীর রেশমের কার্যশিক্ষা বিদ্যালয়ের উন্নয়নেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে দীঘাপতিয়ার রাজভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তিনি বিপুল অর্থ ব্যয়ে তা পুনর্নির্মাণ করেন। কলকাতা ও নাটোরেও তিনি রাজভবন নির্মাণ করেন।
সরকারি সিদ্ধান্তে রাজা প্রসন্ননাথ দাতব্য ঔষধালয় স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে, রাজা প্রমদানাথ রায় নতুন ভবন নির্মাণের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করেন এবং হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি দান করেন। তিনি হাসপাতালে স্বীয় পিতামহী রাণী ভবানীর নামে একটি মহিলা ওয়ার্ড নির্মাণ করেন এবং জমিদারির অন্তর্গত বনাগাঁতিতে একটি দাতব্য ঔষধালয় স্থাপন করেন।
রাজা প্রমদানাথ রায় রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, বঙ্গীয় জমিদার সভার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও অবৈতনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং বিভিন্ন দাতব্য কাজে অর্থ ও জমি দান করেছেন। তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে, আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।