প্যানাসনিক: উদ্ভাবনের এক অবিরাম যাত্রা
জাপানের বহুজাতিক ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি প্যানাসনিক হোল্ডিংস কর্পোরেশন (পূর্বে মাতসুশিতা ইলেকট্রিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড নামে পরিচিত) বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স শিল্পে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯১৮ সালে কোনোসুকে মাতসুশিতার হাত ধরে জাপানের ওসাকার ফুকুশিমায় যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রাথমিকভাবে 'মাতসুশিতা ইলেকট্রিক হাউসওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং ওয়ার্কস' নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও, ১৯৩৫ সালে এর নামকরণ করা হয় 'মাতসুশিতা ইলেকট্রিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড'। ১৯২৭ সালে 'ন্যাশনাল' ব্র্যান্ড নামে বাতির নতুন পণ্য বাজারে আনা হয় এবং ১৯৫৫ সালে জাপানের বাইরে 'প্যানাসনিক' নামে অডিও স্পিকার ও বাতি বিক্রি শুরু করে। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে প্যানাসনিক কর্পোরেশন করা হয় এবং ২০২২ সালে এটি একটি হোল্ডিং কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়।
বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে প্যানাসনিক ভোক্তা ইলেকট্রনিক্সের সবচেয়ে বড় নির্মাতা হিসেবে পরিচিতি পায়। বর্তমানে কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরণের পণ্য এবং সেবা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে: রিচার্জেবল ব্যাটারি, অটোমোটিভ এবং অ্যাভিওনিক সিস্টেম, শিল্প সিস্টেম, গৃহ সংস্কার এবং নির্মাণ। প্যানাসনিক টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জে প্রাথমিক তালিকাভুক্ত এবং নিক্কেই ২২৫ ও টপিক্স ১০০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত।
কোম্পানির ইতিহাসে অনেক উত্থান-পতন দেখা গেছে। ২০০৯ সালে সানিও কর্পোরেশন অধিগ্রহণের মতো বড় সিদ্ধান্ত নেয় প্যানাসনিক। আবার ২০১২ সালে কোম্পানিটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম টেলিভিশন নির্মাতা হওয়ার পর, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই ও পণ্য বিক্রয়ের পরিকল্পনাও গ্রহণ করে। প্যানাসনিক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করেছে, যেমন: ন্যাশনাল, টেকনিকস, রাসনিক ইত্যাদি। সম্প্রতি তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন, বৈদ্যুতিক যানবাহন(EV) ব্যাটারি এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের খাতে নিজেদেরকে আরও বেশি জড়িত করছে। তাদের 'একটি উন্নত জীবন, একটি উন্নত বিশ্ব' নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে তারা টেকসই উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য প্যানাসনিকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং আর্কাইভ দেখা যেতে পারে। আমরা ভবিষ্যতে আরও তথ্য যুক্ত করব।