পেন্টাগনের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে চীনের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রাগার এবং সামরিক শক্তি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, চীন ২০৩০ সালের মধ্যে ১,০০০ টিরও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে তাদের ৬০০ এর বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর চীন তাদের অস্ত্রাগারে কমপক্ষে ১০০ টি নতুন পারমাণবিক অস্ত্র যোগ করেছে।
এই প্রতিবেদনে চীনের বিভিন্ন সামরিক ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। চীনের বায়ুসেনা দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন করছে এবং আমেরিকার সাথে তাল মেলাচ্ছে। ড্রোন প্রযুক্তিতেও চীন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চীনের বায়ুসেনা এখনও আমেরিকার বায়ুসেনার স্তরে পৌঁছাতে পারেনি।
চীনের নৌবাহিনী বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী হিসাবে বিবেচিত। তাদের ৩৭০ টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩৫ টিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের কাছে ছয়টি পারমাণবিক ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন, ছয়টি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং ৪৮ টি ডিজেল চালিত সাবমেরিন রয়েছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে সাবমেরিনের সংখ্যা ৮০ টিতে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পেন্টাগনের রিপোর্টে চীনের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির অগ্রগতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চীনের রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক এবং তাদের দুর্নীতির প্রতিবেদনের কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫ জন উচ্চপদস্থ সামরিক আধিকারিক ও প্রতিরক্ষা শিল্পের কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগে পদচ্যুত করা হয়েছে।