পুলিশ ফাঁড়ি বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি সাধারণত একটি থানার অধীনে কাজ করে এবং ছোটো আকারের একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ইউনিট হিসেবে কাজ করে। পুলিশ ফাঁড়ি বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত হয়, যেমন গ্রাম, শহরের ছোটো এলাকা, পর্যটন স্থল, সীমান্ত এলাকা ইত্যাদি। এর প্রধান কাজ হলো স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা, অপরাধ প্রতিরোধ করা, মামলা রেকর্ড করা, আইনি সহায়তা প্রদান করা এবং স্থানীয় জনগণের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা।
প্রদত্ত লেখা অনুযায়ী, পুলিশ ফাঁড়ির কিছু উদাহরণ হলো: গজলডোবা পুলিশ ফাঁড়ি (যা আগে মিলনপল্লি পুলিশ ফাঁড়ি নামে পরিচিত ছিল), আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি, নৈহাটির বড়মা মন্দির চত্বরে নতুন স্থাপিত বড়মা পুলিশ ফাঁড়ি এবং ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ি। এছাড়াও, লেখাটিতে উল্লেখ আছে বাংলাদেশে পুলিশের জন্য নতুন থানা ও ফাঁড়ি নির্মাণের একটি প্রকল্প চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে। আবার আসামেও বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ১২টি নতুন পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ফাঁড়ির কার্যকারিতা নির্ভর করে এর অবস্থান, জনসংখ্যা, অর্থনৈতিক গতিবিধি, এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণের উপর। একটি ফাঁড়ির জনপ্রিয়তা বা ঐতিহাসিক গুরুত্ব এর অবস্থানের সমৃদ্ধি এবং ঐতিহাসিক ঘটনার উপর নির্ভর করে। কিছু পুলিশ ফাঁড়ি ব্যতিক্রমী অপরাধ প্রতিরোধের জন্য খ্যাত, আবার কিছু ফাঁড়ি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করতে পারে।