পুরোনো গাড়ি কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। অনেকের কাছেই নিজের গাড়ি থাকা একটি স্বপ্ন। কিন্তু নতুন গাড়ির দাম বাজেটের বাইরে হলে পুরোনো বা ব্যবহৃত গাড়ি কেনাই যুক্তিসঙ্গত বিকল্প। তবে এ ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গাড়ি পরীক্ষা:
- বাহ্যিক পরীক্ষা: গাড়ির বডি, রং, লিক, মরিচা, দাগ, ফ্রেম ড্যামেজ, টায়ারের অবস্থা (হাওয়া, ব্যবহারের মাত্রা, অ্যালাইনমেন্ট) , মিরর, হেডলাইট, উইপার এবং গাড়ির নিচের দিক ভালো করে পরীক্ষা করা উচিত।
- অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা: সিট, মেঝে, ছাদ, এয়ারকন্ডিশন, বেক পার্কিং ক্যামেরা, সিডি, রেডিও, ইত্যাদি যাচাই করতে হবে।
- যান্ত্রিক পরীক্ষা: ইঞ্জিন, গিয়ার, ব্রেক সিস্টেম, নিষ্কাশন ব্যবস্থা, হুড, পাইপ, বেল্ট, রেডিয়েটর হোস এবং অন্যান্য যান্ত্রিক অংশগুলির সঠিক কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
- টেস্ট ড্রাইভ: গাড়িটি চালিয়ে দেখা সবচেয়ে ভালো অপশন। ব্রেক, ক্লাচ, এক্সিলারেটর এবং ৯০ ডিগ্রি টার্ন করার সময় যে কোনো অস্বাভাবিক শব্দ বা কাঁপুনি খেয়াল রাখতে হবে।
কাগজপত্র যাচাই:
- রেজিস্ট্রেশন: গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, চ্যাসিস নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর যাচাই করে নিতে হবে।
- ফিটনেস সার্টিফিকেট: গাড়ির বৈধ ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকাটা অপরিহার্য।
- বীমা: গাড়ির বীমা কাগজপত্র দেখে নেওয়া উচিত।
- সার্ভিসিং ইতিহাস: যদি সম্প্রতি গাড়ির মেরামত করা হয়ে থাকে, তবে ওয়ারেন্টি ও ইনভয়েস দেখে নিতে হবে।
- ট্যাক্স: ট্যাক্স কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
অন্যান্য:
- বাজেট নির্ধারণ: গাড়ি কেনার আগে বাজেট ঠিক করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- মেকানিকের পরামর্শ: একজন অভিজ্ঞ মেকানিকের সাহায্য নেওয়া উচিত।
- বিক্রেতার সাথে কথা বলা: বিক্রেতার সাথে ভালোভাবে কথা বলে গাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত।
পুরোনো গাড়ি কেনা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই যত্ন সহকারে পরীক্ষা করে এবং সাবধানতার সাথে কাগজপত্র যাচাই করে কেনা উচিত।