নোয়াখালীতে পিংকির হত্যাকাণ্ড: চাচাতো দেবর গ্রেফতার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শাহনাজ আক্তার পিংকি (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় তার চাচাতো দেবর খালেদ সাইফুল্ল্যাহ (২৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে নরসিংদীর মনোহরদী থানার মৌলভীবাজার এলাকার নলুয়া জামে মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পিংকি বেগমগঞ্জের হাজীপুর ইউনিয়নের শ্রীরাম ভূঁইয়া বাড়ির কুয়েত প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের জননী ছিলেন। ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে শ্বশুরের সাথে বাবার বাড়ি যাওয়ার পথে চৌমুহনী হাজীপুর পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খালেদ সাইফুল্লাহ ও তার সহযোগীরা তাদের ছুরিকাঘাত করে। এতে পিংকি ঘটনাস্থলে মারা যান।
পিংকির বড় বোন ফারজানা আক্তার সুমি জানান, পিংকির মোবাইল ফোন নষ্ট হলে তা ঠিক করতে খালেদ সাইফুল্লাহকে দেন। ওই ফোন থেকে পিংকির ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে প্রায় সাত লাখ টাকা নেয় খালেদ। শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চাইলে পিংকি রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করা হয়।
খালেদ সাইফুল্লাহ বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর হাজীপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম লিটনের ছেলে। পুলিশ জানায়, খুনের পর খালেদ মাইজদী-সোনাপুর-কবিরহাট রোড হয়ে সিএনজিযোগে ফেনী পৌঁছান এবং পরে বাসযোগে ঢাকা যান। তিনি ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদে তিন দিন তাবলীগ জামাতের সাথে থাকেন এবং পরে নরসিংদী গিয়ে আত্মগোপন করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান জানান, খালেদ সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে হত্যাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার আরও দুই সহযোগী পলাতক।