পালং থানা

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৬ পিএম

পালং থানা: ঐতিহাসিক পটভূমি ও বর্তমান পরিচিতি

শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার পূর্ব নাম ছিল পালং। এটি একটি অত্যন্ত প্রাচীন জনপদ, যদিও পালং থানা প্রতিষ্ঠার সঠিক ইতিহাস এবং নামকরণের পেছনের প্রেক্ষাপট এখনো স্পষ্ট নয়। উপলব্ধ তথ্য অনুসারে, ১৮৭৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রকাশিত “ক্যালকাটা গেজেট”-এ মাদারীপুর মহকুমার থানা হিসেবে পালং থানার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। ১৮৮১ সালের ৯ মার্চ কলিকাতা গেজেটে পালং থানার সীমানা নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ, এর আগে থেকেই এটি থানা হিসেবে চালু ছিল। তবে বর্তমানে পালং আর একটি প্রশাসনিক থানা নয়। ১৯৭৭ সালে মহকুমা স্থাপনের মাধ্যমে পালং এর নাম পরিবর্তন করে শরীয়তপুর সদর রাখা হয়।

পালং এর নামকরণের সম্ভাব্য ব্যাখ্যা: ‘পালং’ শব্দটি ‘পালঙ্ক’ (পালঙ্ক>পালং) থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়। আঞ্চলিক ভাষায় পালঙ্ককে পালং বলা হয়। আরেকটি ধারণা হলো, মগ অধিবাসীদের ভাষায় গ্রামকে পালং বলা হয় এবং পালং মগদের আগমনের স্থান হতে পারে।

ভৌগোলিক অবস্থান ও গ্রামসমূহ: পালং শরীয়তপুর জেলার কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত। শরীয়তপুর পৌরসভা গঠনের পর অবশিষ্ট ৯টি গ্রাম নিয়ে পালং ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছে। এই ৯টি গ্রাম হল: পূর্বকোটাপাড়া, নড়বালাখানা, আটিপাড়া, ভুচুড়া, গঙ্গাধরপট্রি, ধামসী, পাটনীগাওঁ, চাদঁসার ও দাত্রা। এই ইউনিয়ন কৃত্তির্নাসা নদীর তীরে অবস্থিত।

ঐতিহাসিক তথ্যের অভাব: পালং থানা সম্পর্কে বিস্তারিত ঐতিহাসিক তথ্য এখনও উপলব্ধ নয়। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংগ্রহ করে এই লেখাটি আপডেট করা সম্ভব হবে।

ক্রমিক নং

বিবরণ

সংখ্যা

মন্তব্য

মূল তথ্যাবলী:

  • পালং ছিল শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার পূর্ব নাম।
  • ১৮৭৪ সালের ক্যালকাটা গেজেটে পালং থানার উল্লেখ পাওয়া যায়।
  • বর্তমানে পালং একটি প্রশাসনিক থানা নয়।
  • পালং ইউনিয়ন ৯ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
  • পালং এর নামকরণের সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পালং থানা

৪ জানুয়ারী ২০২৫

শফিউল্লাহকে শরীয়তপুরের পালং থানাধীন স্টেডিয়াম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।