পামবন দ্বীপ

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:০৩ পিএম
নামান্তরে:
ধনুষকোড়ি
পমবন দ্বীপ
পামবন দ্বীপ

পামবন দ্বীপ, রামেশ্বরম দ্বীপ নামেও পরিচিত, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যবর্তী রাম সেতু দ্বীপপুঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ। তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম জেলার অন্তর্গত এই দ্বীপটির প্রধান শহর হল রামেশ্বরম, যা হিন্দুদের একটি পবিত্র তীর্থস্থান। ৯°১১' উত্তর থেকে ৯°১৯' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৯°১২' পূর্ব থেকে ৭৯°২৩' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৬৭ বর্গকিলোমিটার। পামবন দ্বীপ, রাম সেতু এবং শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপ একত্রে পক উপসাগর ও পক প্রণালীকে মান্নার উপসাগর থেকে পৃথক করে। পশ্চিমে পামবন শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ধনুষ্কোড়ি পর্যন্ত এর প্রস্থ প্রায় ৩০ কিমি। দ্বীপটির দৈর্ঘ্য ধনুষ্কোড়িতে ২ কিমি থেকে রামেশ্বরমে ৭ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।

পামবন দ্বীপ রামনাথপুরম জেলার ওকারিসালকুলাম, মাহিন্দি, পামবন ও রামেশ্বরম - এই চারটি তালুকে বিভক্ত। পামবন ও রামেশ্বরম দুটি প্রশাসনিক গ্রাম। রামেশ্বরম দ্বীপের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল শহর (২০১১ জনগণনা অনুযায়ী জনসংখ্যা ৪৪,৮৫৬)। এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ বারান্দা বিশিষ্ট রামনাথস্বামী মন্দির রামেশ্বরমেই অবস্থিত। পামবন, দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত একটি মাছ ধরার গ্রাম ও বন্দর, যা রামেশ্বরমের প্রধান প্রবেশপথ। এখানে প্রায় ৯,০০০ মানুষ বাস করে। পামবন সেতুর পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এই শহরটি ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে সাগরের সংকীর্ণ অংশ দিয়ে পৃথক। পামবন ও রামেশ্বরমে রেল স্টেশন রয়েছে। পামবন ও রামেশ্বরমের মাঝখানে অবস্থিত ছোট বসতি থাঙ্গাচিমড়মে কিছু মন্দির ও গির্জা রয়েছে।

ধনুষ্কোড়ি, দ্বীপের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এক সময়ের সমৃদ্ধ বন্দর ও তীর্থস্থান, ১৯৬৪ সালের ঘূর্ণিঝড়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। এই ঘটনায় ২০০০ এর বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ধনুষ্কোড়ি এখন একটি ভূতুড়ে শহরের মতো। পামবন দ্বীপে গন্ধমাদন নামক একটি উঁচু টিলা রয়েছে, যেখান থেকে বলা হয়, ভগবান রাম শ্রীলঙ্কা দেখেছিলেন এবং সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন। দ্বীপের বেশিরভাগ এলাকা সাদা বালিতে ঢাকা এবং চাষের উপযোগী নয়। তবে নারকেল, তাল ও ইউক্যালিপটাস গাছ দেখা যায়।

মূল তথ্যাবলী:

  • পামবন দ্বীপ ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যবর্তী রাম সেতু দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ।
  • এটি তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম জেলায় অবস্থিত।
  • রামেশ্বরম দ্বীপের প্রধান শহর ও হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।
  • ১৯৬৪ সালে ধনুষ্কোড়িতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।
  • পামবন সেতু পামবন দ্বীপকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পামবন দ্বীপ