পানিতে ডুবে যাওয়া

আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৪৪ পিএম

বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা একটি ভয়াবহ বাস্তবতা। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা, এই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এই লেখায় আমরা পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণ, প্রতিরোধ এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কারণ:

পানিতে ডুবে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো:

  • শিশুদের তত্ত্বাবধানের অভাব: অভিভাবকদের অবহেলা বা তত্ত্বাবধানের অভাবের কারণে শিশুরা অযত্নে পানিতে পড়ে যায়।
  • পানির উৎসের নিরাপত্তার অভাব: ঘরের কাছাকাছি অগভীর পুকুর, ডোবা, খাল, নদী ইত্যাদিতে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
  • সাঁতার জানার অভাব: অনেক শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সাঁতার জানে না, ফলে পানিতে পড়লে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে ওঠে।
  • মৃগীরোগ: মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হঠাৎ করে খিঁচুনি অনুভব করে এবং জ্ঞান হারাতে পারে, যার ফলে পানিতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • অন্যান্য কারণ: বন্যা, অসাবধানতা, অসুস্থতা, আত্মহত্যা ইত্যাদিও পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

প্রতিরোধ:

পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি:

  • সচেতনতা বৃদ্ধি: পানির নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা: পুকুর, ডোবা, খাল, নদী ইত্যাদিতে বেষ্টনী, ঘেরাও, সাইনবোর্ড ইত্যাদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করা।
  • সাঁতার শিক্ষা: শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের সাঁতার শেখানো।
  • তত্ত্বাবধান: শিশুদেরকে পানির কাছে সর্বদা তত্ত্বাবধানে রাখা।
  • মৃগীরোগের যত্ন: মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা ও তত্ত্বাবধান করা।

প্রাথমিক চিকিৎসা:

কাউকে পানিতে ডুবে যাওয়ার পর নিম্নলিখিত প্রাথমিক চিকিৎসা প্রয়োগ করা উচিত:

  • পানি থেকে উদ্ধার: দ্রুত পানি থেকে উদ্ধার করা।
  • শ্বাস প্রশ্বাস পরীক্ষা: শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছে কিনা পরীক্ষা করা।
  • মুখ থেকে পানি বের করা: আঙুল দিয়ে মুখ থেকে পানি বের করে দেওয়া।
  • কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস (CPR): প্রয়োজন হলে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস দেওয়া।
  • হার্ট ম্যাসাজ: প্রয়োজন হলে বুকে হার্ট ম্যাসাজ (Chest Compression) দেওয়া।
  • চিকিৎসকের কাছে নেওয়া: দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া।

উল্লেখ্য: পানিতে ডুবে যাওয়া একটি জীবন সংকট। দ্রুত পদক্ষেপ এবং সঠিক চিকিৎসা মৃত্যুঝুঁকি কমাতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা, পানিতে ডুবে মারা যায়।
  • শিশুদের তত্ত্বাবধানের অভাব, পানির উৎসের নিরাপত্তার অভাব, এবং সাঁতার জানার অভাব এর প্রধান কারণ।
  • পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এবং সাঁতার শিক্ষা জরুরি।
  • পানিতে ডুবে যাওয়ার পর দ্রুত পানি থেকে উদ্ধার, শ্বাস প্রশ্বাস পরীক্ষা, এবং প্রয়োজন হলে CPR প্রয়োগ করা উচিত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পানিতে ডুবে যাওয়া

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

তিন শিশু পুকুরে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় একজন মারা যায়, একজন নিখোঁজ হয় এবং একজন আহত হয়।

তিন শিশু পুকুরে গোসল করার সময় ডুবে যায়।