পরিবেশবান্ধব কারখানা: একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু
আধুনিক যুগে, দ্রুত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলেও পরিবেশের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। শিল্পায়নের ফলে কারখানা থেকে নির্গত দূষণকারী পদার্থ পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত করে। তাই, পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তোলা আজকের দিনের অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। এ ধরণের কারখানা পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব কমিয়ে নিরাপদ ও টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
মুগল আমলে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কারখানাগুলি ছিল উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু। সুলতান মুহম্মদ বিন তুগলক (১৩২৫-১৩৫১) এবং সুলতান ফিরুজ শাহ তুগলকের আমলে এই কারখানাগুলি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করতো। আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) শাসনামলে ‘দিউয়ান-ই-বুয়ুতাত’ ও ‘মীরসামান’ এর অধীনে এগুলি নিয়মিত বিভাগ ছিল। তখন শিক্ষানবিশদের প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হতো। ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার সতেরো শতকে মুগল সাম্রাজ্যের কারখানাগুলির সমৃদ্ধি লক্ষ্য করেছিলেন। বাংলার কারখানাগুলি উৎকৃষ্ট মানের বস্ত্র উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিল। আঠারো শতকে মুগল আমলের অবক্ষয়ের সাথে সাথে এই কারখানাগুলিরও অবনতি ঘটে।
পরিবেশবান্ধব কারখানার বৈশিষ্ট্য:
পরিবেশবান্ধব কারখানা দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে, শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি করে, জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে। কম দূষণকারী কাঁচামাল ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পুনর্ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কর্মীদের নিরাপত্তা এবং সুস্বাস্থ্যের উপর ও বিশেষ নজর দেওয়া হয়।
উদাহরণ:
বিশ্বের অনেক দেশেই পরিবেশবান্ধব কারখানার উদাহরণ দেখা যায়। এই কারখানাগুলি পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের মডেল হিসেবে কাজ করে।
উপসংহার:
পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে তোলা আজকের দিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে পরিবেশ সংরক্ষণ, সুস্থ সমাজ গঠন এবং টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।