পবন কল্যাণ: অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ
২রা সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের বাপটলায় জন্মগ্রহণকারী পবন কল্যাণ একজন বিশিষ্ট ভারতীয় অভিনেতা, রাজনীতিবিদ এবং জনহিতৈষী। তেলুগু চলচ্চিত্র জগতে তার অসাধারণ অভিনয় দক্ষতার জন্য তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার স্বতন্ত্র অভিনয়শৈলী ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব তাকে ‘পাওয়ার স্টার’ উপাধিতে ভূষিত করেছে। তিনি তেলুগু চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতাদের একজন এবং ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেলিব্রিটি ১০০ তালিকায়ও স্থান পেয়েছেন।
১৯৯৬ সালে ‘আক্কাদা আম্মায়ি ইক্কাদা আববায়ে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জীবনে অভিষেক ঘটে পবন কল্যাণের। পরবর্তীতে ‘থলি প্রেমা’, ‘থামমুডু’, ‘বদ্রি’, ‘কুশি’ সহ অসংখ্য ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মনে আলাদা স্থান করে নেন। ‘গব্বর সিং’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার লাভ করেন। ‘কুশি’ ও ‘আত্তারিন্টিকি দারেডি’ চলচ্চিত্র দুটি তেলুগু চলচ্চিত্র ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করেছে।
অভিনয় জীবনের পাশাপাশি পবন কল্যাণ রাজনীতিতেও সক্রিয়। ২০১৪ সালে তিনি জনসেনা পার্টি (জেএসপি) প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি, তার সমর্থন ও প্রচারণা টিডিপি-বিজেপি জোটের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি বিভিন্ন জনসমস্যার প্রতিবাদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, যেমন উদ্দানমে কিডনি রোগের সংকট, জোরপূর্বক জমি অধিগ্রহণ এবং সংরক্ষিত বনে অবৈধ খনন।
২০১৯ সালে জনসেনা পার্টির প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একটি এমএলএ আসন জয় করে এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে একটি ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। এই নির্বাচনে জনসেনা পার্টি ২১টি এমএলএ আসন এবং ২টি এমপি আসন জিতেছে। পবন কল্যাণ নিজে পিটাপুরম কেন্দ্র থেকে ৭০,০০০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের দশম উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মন্ত্রী হিসেবে পঞ্চায়েত রাজ, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং গ্রামীণ জল সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।
পবন কল্যাণ একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তার অভিনয়, রাজনীতি এবং জনসেবা কাজ তার ব্যক্তিত্বের বহুমুখীতা প্রতিফলিত করে। তিনি তার অবদানের মাধ্যমে অন্ধ্রপ্রদেশের জনগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।