দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও দ্রুত ও সহজ করে তুলতে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে ঢাকা-খুলনা নতুন রুটে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এই রুটে 'জাহানাবাদ এক্সপ্রেস' (খুলনা-ঢাকা-খুলনা) এবং 'রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস' (বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল) নামে দুটি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করবে। পদ্মা সেতু ব্যবহার করে এই নতুন রুটে ঢাকা থেকে খুলনা বা বেনাপোল পৌঁছাতে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। আগে ঢাকা থেকে খুলনা যেতে ৯ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং বেনাপোল যেতে ৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট সময় লাগত। এই নতুন রুট চালু হওয়ায় যাত্রীদের যাতায়াতের সময় ও ব্যয় উভয় ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য সাশ্রয় হবে। ট্রেনগুলিতে ১২টি করে কোচ রয়েছে, মোট আসন সংখ্যা ৭৬৮টি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এই ট্রেন উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই রুটে আরও নতুন ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে: শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৭৪০ টাকা, এসি সিট ৮৮৫ টাকা এবং এসি বার্থ ১৩৩০ টাকা (ভ্যাট ছাড়া)। সোমবার ব্যতীত সপ্তাহের অন্যান্য দিন ট্রেনগুলো চলাচল করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পদ্মা সেতুকে কেবলমাত্র সড়কপথ নয়, রেলপথের মাধ্যমেও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার পথ প্রশস্ত হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প
মূল তথ্যাবলী:
- ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩: ঢাকা-খুলনা নতুন রেল রুট চালু
- পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
- ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ ও ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালু
- যাত্রীদের সময় ও ব্যয় সাশ্রয়
- ৬ মাসের মধ্যে এই রুটে আরও নতুন ট্রেন চালুর পরিকল্পনা
গণমাধ্যমে - পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে নতুন ট্রেন চালু।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে খুলনা ও বেনাপোলের জন্য দুটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়েছে।