নেহাল আহমেদ

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৪৭ এএম

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ: একজন শিক্ষাবিদ ও প্রশাসকের জীবনচরিত

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রশাসক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৫ সালের ১৪ই এপ্রিল কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় তাঁর জন্ম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ২৭ নভেম্বর ১৪তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তারপর তিনি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, ধামরাই সরকারি কলেজ, জগন্নাথ কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি ভিকু মেমোরিয়াল কলেজ, এবং শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন।

শিক্ষকতা ছাড়াও, অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তার কর্মজীবনে তিনি সততা ও নিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শুদ্ধাচার পুরষ্কারে ভূষিত হন।

তিনি চাকরিজীবনে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং সরকারি সফরে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁর ভ্রমণের তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ফিনল্যান্ড, গ্রীস, সুইডেন, নরওয়ে, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, নেপাল ও থাইল্যান্ড অন্তর্ভুক্ত। ছাত্রজীবনে তিনি মঞ্চশিল্পী ও নাট্য নির্দেশক হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন এবং বর্তমানে দৃশ্যপট নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য। তাঁর স্ত্রী সাইফুননেছা কচি একটা বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আছেন এবং তাদের এক কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ কর্মজীবন শিক্ষা ও প্রশাসন ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের পরিচায়ক। আশা করা যায়, তিনি ভবিষ্যতেও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য কাজ করে যাবেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ১৯৬৫ সালে কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
  • তিনি ১৪তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
  • তিনি মাউশির মহাপরিচালক ছিলেন।
  • তিনি ২০২৩ সালে শুদ্ধাচার পুরষ্কারে ভূষিত হন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।