নিরালা মোড় থেকে গল্লামারি মোড়

আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৩৫ পিএম

খুলনার নিরালা মোড় থেকে গল্লামারি মোড় পর্যন্ত এলাকাটি ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে একটি উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী হয়। খুলনার নিরালা সংলগ্ন তাবলীগ (মারকাজ) মসজিদে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের মধ্যে নামাজ পড়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিরোধের ফলে দিনভর মসজিদটি কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা থাকে।

সাদপন্থী মুসল্লিদের দাবি, ১০ দিন জুবায়েরপন্থীরা মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন না। জবাবে জুবায়েরপন্থীরা ঘোষণা করে যে তারা শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজ আদায় করবে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী ভোর থেকেই নিরালা মোড় থেকে গল্লামারি মোড় পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সাধারণ মুসল্লিদের ছাড়া অন্য কাউকে মসজিদের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বেলা ১২টার সময় মসজিদের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম জানান, মুসল্লিদের বিভাজনের কারণে তাঁরা জুম্মার নামাজ আদায় করতে পারেননি। তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের ভেতর এ ধরনের বিভেদ চান না। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাঃ আহসান হাবিব জানান, দিনভর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার কারণে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং রাত সাড়ে ছয়টার দিকে সকল সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। পুরো পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

উল্লেখ্য, নিরালা মোড় ও গল্লামারি মোড়ের স্থানিক অবস্থান এবং ঐ দিনের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য এই প্রতিবেদনে পরিপূর্ণভাবে উল্লেখ করা হয়নি। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা এই প্রতিবেদনটি আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩-এ খুলনার নিরালা সংলগ্ন তাবলীগ মসজিদে নামাজকে কেন্দ্র করে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
  • নিরালা মোড় থেকে গল্লামারি মোড় পর্যন্ত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন ছিল।
  • মসজিদের প্রধান ফটক বেলা ১২টায় তালাবদ্ধ করা হয়।
  • কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
  • পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - নিরালা মোড় থেকে গল্লামারি মোড়

এই এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করে।