বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বলতে সাধারণত দেশের সশস্ত্র বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বোঝায়। এই বাহিনীগুলোর কার্যক্রম ও ভূমিকা বিভিন্ন। সশস্ত্র বাহিনী (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী) দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বৈদেশিক আগ্রাসন প্রতিরোধ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার প্রধান দায়িত্ব পালন করে। অন্যদিকে, আধাসামরিক বাহিনী যেমন- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সীমান্ত রক্ষা, অভ্যন্তরীণ শান্তি রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং অন্যান্য বিশেষ কর্ম সম্পাদন করে। এছাড়াও, পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, অপরাধ দমন এবং জনগণের নিরাপত্তা সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই সকল বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে অংশগ্রহণ করে ছিলেন। স্বাধীনতার পর এই বাহিনীগুলির বিকাশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অগ্রগতি হয়েছে। তবে, বর্তমানে নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে যেমন সাইবার নিরাপত্তা হুমকি, সন্ত্রাসবাদ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জনিত ঝুঁকি। এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে সকল নিরাপত্তা বাহিনীর উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণ প্রয়োজন।
নিরাপত্তা বাহিনী
আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৩১ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীতে সশস্ত্র বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্তর্ভুক্ত।
- সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।
- আধাসামরিক বাহিনী সীমান্ত রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং অন্যান্য বিশেষ কাজ করে।
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধ দমন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সকল বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
- বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ এবং আন্তর্জাতিক ঝুঁকি মোকাবেলায় বাহিনীর আধুনিকীকরণ প্রয়োজন।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - নিরাপত্তা বাহিনী
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং পুলিশ মসজিদের নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিল।