নিজাম উদ্দিন আহমেদ

নিজাম উদ্দিন আহমেদ: একুশে পদকপ্রাপ্ত শহীদ বুদ্ধিজীবী

১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণকারী নিজাম উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অকুতোভয় সাংবাদিক ও শহীদ বুদ্ধিজীবী। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত কূটনীতিক কামরুদ্দীন আহমেদ এবং জোবেদা খানমের পুত্র। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতার দিনেই জন্মগ্রহণ করায় তার নামকরণ করা হয় 'আজাদ'। তার শৈশব কেটেছে বিভিন্ন দেশে, তার বাবার কূটনৈতিক চাকরির সুবাদে। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি পিপিআইতে সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং ১৯৬৯ সালে এর সম্পাদক হন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের শেষ দিকে, ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর হাতে অপহরণ ও হত্যার শিকার হন। তার অমরত্ব বজায় রেখে গেছে তার দেশপ্রেম ও সাহসিকতা। তার স্মৃতিচারণ এবং তার শেষ চিঠি (যা তার বন্ধু আব্দুল কাজী টুলু কাছে লিখেছিলেন) প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছে। সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে তিনি রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক লাভ করেন। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানকে নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে ফাঁসির আদেশ দেয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • নিজাম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক।
  • তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
  • পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে তিনি শহীদ হন।
  • তাকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে।
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার হত্যাকারীদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে।