নিউ ইয়র্ক ও পেনসিলভানিয়া: দুটি উল্লেখযোগ্য আমেরিকান অঞ্চল
নিউ ইয়র্ক ও পেনসিলভানিয়া, উত্তর-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক একটি অঙ্গরাজ্যের নাম, এবং এর মধ্যে নিউ ইয়র্ক শহর বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও প্রভাবশালী মহানগরী। অন্যদিকে, পেনসিলভানিয়াও একটি অঙ্গরাজ্য যার নিজস্ব ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক গুরুত্ব রয়েছে। এই লেখাটি নিউ ইয়র্ক ও পেনসিলভানিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরবে।
নিউ ইয়র্ক শহর:
- অবস্থান: উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে, নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে, হাডসন নদী ও ইস্ট নদীর মোহনায়, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত।
- জনসংখ্যা: প্রায় ৮৬ লক্ষ। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর।
- ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ১৬২৪ সালে ওলন্দাজ উপনিবেশ স্থাপনকারীরা এখানে একটি বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে, যার নাম পরে ‘নয়া আমস্টারডাম’ রাখা হয়। ১৬৬৪ সালে ইংরেজরা এটি দখল করে নেয় এবং নামকরণ করে ‘নিউ ইয়র্ক’। ১৭৮৫ থেকে ১৭৯০ সাল পর্যন্ত এটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী।
- অর্থনৈতিক গুরুত্ব: বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা কেন্দ্রগুলির একটি। ওয়াল স্ট্রিট বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র।
- দর্শনীয় স্থান: স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, সেন্ট্রাল পার্ক, টাইমস স্কোয়ার, মেট্রোপলিটান মিউজিয়াম অফ আর্ট, ইত্যাদি।
পেনসিলভানিয়া:
- অবস্থান: উত্তর-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-আটলান্টিক, অ্যাপালাচিয়ান ও গ্রেট লেক অঞ্চলগুলির একটি রাজ্য।
- জনসংখ্যা: আনুমানিক ১,২৮,০১,৯৮৯ জন (২০১৯)।
- ঐতিহাসিক গুরুত্ব: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি মূল প্রতিষ্ঠাতা রাজ্যের মধ্যে একটি। ১৬৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত। ইন্ডিপেন্ডেন্স হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র এবং মার্কিন সংবিধানের খসড়া তৈরি করা হয়।
- অর্থনৈতিক গুরুত্ব: ২০২০ সালে, পেনসিলভেনিয়ার মোট রাজ্য পণ্য (জিএসপি) ছিল ৮০৩ বিলিয়ন ডলার।
- দর্শনীয় স্থান: ফিলাডেলফিয়া, পিটসবার্গ, হ্যারিসবুর্গ।
উপসংহার:
নিউ ইয়র্ক ও পেনসিলভানিয়া উভয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আজও অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, বিচিত্র সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক শক্তি এদেরকে বিশ্বের মানচিত্রে একটি অনন্য স্থান দিয়েছে।