নাফিসা ইসলাম

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২:২২ এএম

নাফিসা ইসলাম নামটি দুটি ভিন্ন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। একজন হলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের একজন রাজকুমারী এবং অপরজন হলেন মিশরের একজন বিখ্যাত ইসলামি পণ্ডিতা।

প্রথম নাফিসা:

নাফিসা মেলেক সুলতান খাতুন (আনু. ১৩৬৩ - ১৪০২ সালের পর), যিনি নেফিসে মেলেক সুলতান হাতুন নামেও পরিচিত ছিলেন, তিনি ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান প্রথম মুরাদের কন্যা। তিনি কারামানের আলাউদ্দিন আলী বে এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং কারামান বেয়লিক এর উত্তরসূরি দ্বিতীয় মেহমেদের মা ছিলেন। তার জীবনকালে তিনি কারামান ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৩৮৭ সালে তিনি কারামানে একটি ধর্মতাত্ত্বিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। ১৩৯৭ সালে তার স্বামী আলাউদ্দিনের মৃত্যুর পর তিনি বিধবা হন এবং পরবর্তীতে ১৪০২ সালে কারামানে মারা যান।

দ্বিতীয় নাফিসা:

আল-সায়েদা নাফিসা (মৃত্যু: ২০৮ হিজরি/৮৩০ খ্রিস্টাব্দ), পুরো নাম আস-সায়েদা নাফিসা বিনত আল-হাসান, ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মদের বংশধর এবং একজন বিখ্যাত ইসলামি পণ্ডিতা। মিশরের কায়রোতে তার নামে একটি মসজিদ রয়েছে। তিনি সুন্নি ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস আশ-শাফি'ঈ কে শিক্ষা দিয়েছিলেন। তার জীবনে ১৫০ টিরও বেশি অলৌকিক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তিনি একজন ঋষিমতী, তপস্বী এবং উত্তম গুণসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তার সমাধি কায়রোতে অবস্থিত এবং এটি একটি 'ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান' এর অংশ।

প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে উভয় নাফিসার জীবনের সম্পূর্ণ বিবরণ প্রদান করা সম্ভব হয়নি। অতিরিক্ত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • উসমানীয় রাজকুমারী নাফিসা মেলেক সুলতান খাতুন কারামানের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
  • মিশরের ইসলামি পণ্ডিতা আল-সায়েদা নাফিসা ইমাম শাফিঈকে শিক্ষা দিয়েছিলেন।
  • উভয় নাফিসার জীবনে অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
  • কায়রোতে আল-সায়েদা নাফিসার নামে একটি মসজিদ রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - নাফিসা ইসলাম

জানুয়ারী ১, ২০২৫

নাফিসা ইসলাম মেলার দর্শনার্থী ছিলেন।