নাফিস আহমেদ: একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভূগোলবিদ
এই নিবন্ধে দুইজন নাফিস আহমেদের কথা বলা হয়েছে। একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভূগোলবিদ এবং অপরজন একজন শিল্পী ও ফটোগ্রাফার।
নাফিস আহমেদ (শিক্ষাবিদ ও ভূগোলবিদ):
নাফিস আহমেদ (১৯১১-১৯৮২) ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভূগোলবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৪ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৩৬ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৩ সালে লন্ডনের স্কুল অব ইকোনোমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৩৬ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৪০ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে রিডার, অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। অবসর গ্রহণের পর ইসলামাবাদ ও করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
তিনি ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ভূগোল পরিষদের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ভূগোল পরিষদ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি এবং আমেরিকান সোসাইটির ফেলো ছিলেন। ভূগোল বিষয়ে অনেক গ্রন্থ রচনা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো 'দি বেসিস অব পাকিস্তান', 'ভূগোলে মুসলমানদের অবদান' এবং 'পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ভূগোল'। ১৯৬১ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সম্মান সূচক পদক লাভ করেন। ১৯৮২ সালের ৩১শে মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
নাফিস আহমেদ (শিল্পী ও ফটোগ্রাফার):
গাজী নাফিস আহমেদ একজন বাংলাদেশী শিক্ষক, শিল্পী ও ফটোগ্রাফার। ১৯৮২ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং তার কাজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছে। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে “ইনার ফেস” সিরিজ অন্যতম, যা এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। তিনি ২০১৮ সালে লা বিয়েনালে দি ভেনিজিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন, মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স, ইউএনএআইডিএস, ইউএনডিপি, ডাব্লুএফপি, সেভ দ্য চিলড্রেন সহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করেছেন। তার ফটোগুলি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য নিউ ইয়র্কার এবং দ্য গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত হয়েছে।
আমরা যখন আরও তথ্য পাবো, তখন এই নিবন্ধটি আরও সম্পূর্ণ করা হবে।