নওগাঁ, পত্নীতলা উপজেলা

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:১৬ এএম
নামান্তরে:
নওগাঁ পত্নীতলা উপজেলা
নওগাঁ, পত্নীতলা উপজেলা

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত পত্নীতলা উপজেলা ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। ১৭৯৩ সালে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার একটি থানা হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। এর আগে, পত্নীতলা থানা পশ্চিম দিনাজপুর জেলার অধীনে ছিল। ১৯১৮ সালে পত্নীতলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ধামইরহাট থানা গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পত্নীতলা থানা বগুড়া জেলার অন্তর্গত হয় এবং ১৯৪৯ সালে রাজশাহী জেলার নওগাঁ মহকুমার সাথে যুক্ত হয়।

নামকরণের ইতিহাস: পত্নীতলার নামকরণের পেছনে বেশ কিছু জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। কিছু জনশ্রুতি অনুযায়ী পাঠান শাসনকালে ‘পত্তনীতোলা’ বা ‘পাঠানতোলা’ নাম থেকে এ নামের উৎপত্তি। আবার অন্য একটি জনশ্রুতি অনুযায়ী তাহির রাজবংশের একজন পূর্বপুরুষ কালীমন্দির স্থাপন করেন যার সাথে এ নামের সম্পর্ক। তৃতীয় একটি জনশ্রুতি অনুযায়ী, পাটনী সম্প্রদায়ের লোকেরা আত্রাই নদীতে খেয়া পারাপারের জন্য বসতি স্থাপন করে ‘পাটনীতোলা’ নামকরণ করে।

ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা: পত্নীতলা উপজেলা নওগাঁ জেলার উত্তরে ধামইরহাট, দক্ষিণে মহাদেবপুর, পূর্বে বদলগাছী এবং পশ্চিমে সাপাহার ও পোরশা উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত। এর আয়তন প্রায় ৩৭৯.৪৩ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ২,২৯,৮৮০ জন (প্রায়)।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পত্নীতলা উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ৩০ নভেম্বর ১৯৭১ সালে হালিমনগর/হালিমডাঙ্গা নামক স্থানে পাক হানাদার বাহিনী আদিবাসী ও কৃষকদের গণহত্যা করে। মল্লিকপুর এবং ডাসনগরেও বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়।

অর্থনীতি: এলাকাটি কৃষি নির্ভর। ধান, গম, আলু, আখ ইত্যাদি প্রধান ফসল।

প্রশাসন: উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য স্থান: আলিম নগর বধ্যভূমি। (অতিরিক্ত তথ্যের অভাবে এখানে আরো স্থানের বিবরণ যুক্ত করা সম্ভব হয়নি। পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমরা এই বিভাগটি আপডেট করব। )

পরবর্তী আপডেট: আমরা পত্নীতলা উপজেলা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি এবং সেগুলি এই লেখায় যুক্ত করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৭৯৩ সালে দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
  • ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তর।
  • মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও বধ্যভূমির ইতিহাস।
  • কৃষিপ্রধান অর্থনীতি।
  • ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।