দেলোয়ার

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

দেলোয়ার হোসেন নামটি বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে নির্দেশ করে। প্রথমজন হলেন হোসায়েন, দেলোয়ার (১৮৪০-১৯১৬), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম গ্রাজুয়েট এবং সরকারি আমলা। দ্বিতীয়জন হলেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন (১৯৩৩-২০১১), একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিক।

হোসায়েন, দেলোয়ার (১৮৪০-১৯১৬): হুগলি জেলার আরসাহ পরগনার বাউবনাম গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন তৎকালীন ভারতীয়দের জন্য সিভিল সার্ভিসে সর্বোচ্চ পদে চাকরি শুরু করেন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর (প্রথম শ্রেণির) পদে থাকাকালীন ১৮৯৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। অবসরকালে তিনি ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি ‘ইস্তনিয়াহু আহমেদ’, ‘মুতাজালেহ’ ও ‘সাঈদ’ ছদ্মনামে লেখালিখি করতেন এবং The Moslem Chronicle ও The Mussalman পত্রিকায় লিখিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হত। তাঁর 'Essays on Mohmmedan Social Reform' (১৮৮৯) গ্রন্থ হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক নিয়ে ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করে। তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যে বিশ্বাস করলেও মনে করতেন, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সমতা অর্জনের পূর্বে আলাদা রাজনৈতিক পরিচয় বজায় রাখা উচিত।

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন (১৯৩৩-২০১১): মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার খিরাই পাচুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স), এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তিনি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে যুক্ত হন। বিএনপির জাতীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য এবং একাধিকবার মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপির মহাসচিবও ছিলেন। আশির দশকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ও ২০০৭ সালের একাদশ জানুয়ারির ঘটনাবলীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য একুশে পদক পান।

মূল তথ্যাবলী:

  • হোসায়েন, দেলোয়ার: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম গ্রাজুয়েট
  • খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন: বিএনপির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য
  • দেলোয়ার হোসেন: হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পক্ষপাতী
  • খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন: ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ
  • দেলোয়ার হোসেন: সরকারি আমলা ও লেখক

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।