সিরিয়ার দেরা: গৃহযুদ্ধের সূচনা ও বর্তমান অবস্থা
সিরিয়ার দেরা শহর, ২০১১ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূত্রপাতস্থল হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। এই শহর থেকেই শুরু হয় সেই আন্দোলন, যা পরবর্তীতে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে রূপান্তরিত হয়। ১৩ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের পর, দেরা আবারও সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে, বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়ার কারণে।
২০১১ সালের ঘটনাবলী:
২০১১ সালের ২১ মে, ১৩ বছর বয়সী কিশোর হামজা আল-খতিবের নির্যাতিত দেহ উদ্ধারের ঘটনা দেরায় গণঅসন্তোষের সূত্রপাত ঘটায়। সরকারবিরোধী সমাবেশে অংশগ্রহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া হামজার মৃত্যু সিরিয়া জুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এই বিক্ষোভই পরে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়।
বর্তমান পরিস্থিতি:
সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেরা শহর এবং এর আশপাশের এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর দখলে চলে গেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, সহিংস সংঘর্ষের পর সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার ফলে সরকারি বাহিনী দেরা ত্যাগ করেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ‘মুক্ত সিরিয়া আর্মি’ (এফএসএ) এবং ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) উল্লেখযোগ্য।
দেরার গুরুত্ব:
দেরা শহর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি জর্ডান সীমান্তের কাছে অবস্থিত এবং একটি প্রাদেশিক রাজধানী। ২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের সূচনা এখান থেকেই হওয়ায়, এর প্রতীকী গুরুত্বও অপরিসীম। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে।
ভবিষ্যৎ:
বিদ্রোহীদের এই সাফল্য সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বদলে দিতে পারে। তবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস-এর পুনরুত্থান রোধ করা সিরিয়ার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়েই রয়ে গেছে। যুদ্ধ শেষ হলেও প্রকৃত শান্তি এখনও অনেক দূরে। আমরা আরও তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে এই লেখাটি আপডেট করবো।