দুঃশাসন

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
Dushasana
দুঃশাসন

দুঃশাসন: মহাভারতের এক নৃশংস চরিত্র

মহাকাব্য মহাভারতের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র দুঃশাসন। তার নামের অর্থই বহন করে এক অপশকুনের ছায়া - যাকে শাসন করা দুঃসাধ্য। ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর পুত্র, দুর্যোধনের অনুজ ও অন্নতম সহযোগী হিসেবে দুঃশাসন কৌরবপক্ষের প্রধান অপরাধীদের একজন। ত্রিগর্ত রাজকন্যা চন্দ্রমুখীসহ আরও কয়েকজনকে বিয়ে করেন এবং দ্রুমসেন তার পুত্র।

দুঃশাসনের জন্মের কাহিনীও রহস্যময়। গান্ধারীর শত পুত্রের জন্মের আশীর্বাদ পেয়েও, প্রসবের অসম্ভব দীর্ঘ সময়ের পর লৌহকঠিন এক মাংসপিণ্ড নির্গত হয়। ব্যাসদেবের হস্তক্ষেপে তা শত ভাগে বিভক্ত হয়ে শত পুত্রের জন্ম দেয়, দুঃশাসন তাদের মধ্যে অন্যতম।

দুঃশাসন তার জীবনকালে অসংখ্য অপকর্ম করেছেন। পাশা খেলার পর যুধিষ্ঠিরের সর্বস্বান্ত হওয়ার পর দ্রৌপদীকে অপমানের শিকার করেছিলেন তিনি। দ্রৌপদীকে কেশ ধরে সভামঞ্চে টেনে আনার ঘটনা এবং তাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা মহাভারতের সবচেয়ে নৃশংস অধ্যায় গুলোর মধ্যে একটি। এই ঘটনার পর ভীম দুঃশাসনকে বধ করার প্রতিজ্ঞা করেন।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দুঃশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অনেক যোদ্ধার সাথে যুদ্ধ করেন এবং অভিমন্যু হত্যাকান্ডেও যুক্ত ছিলেন। কিন্তু যুদ্ধের ১৬তম দিনে ভীমের সাথে এক গদায়ুদ্ধে পরাজিত হয়ে, তিনি ভীমের কাছে নির্মম মৃত্যুবরণ করেন। ভীম তার বুক চিড়ে রক্ত পান করার দৃশ্য মহাভারতের ইতিহাসে স্মরণীয়।

দুঃশাসনের চরিত্র মহাভারতের নীতিবোধের সাথে বিরোধী। তার নৃশংসতা ও অধর্মের প্রতীক হিসেবেই তাকে চিহ্নিত করা হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • দুঃশাসন: ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর পুত্র, দুর্যোধনের অনুজ
  • দ্রৌপদীর অপমানে জড়িত ছিলেন দুঃশাসন
  • কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
  • ভীমের হাতে নির্মম মৃত্যু
  • অধর্ম ও নৃশংসতার প্রতীক

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।