দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা মসজিদ নিয়ে লেখা নিবন্ধটিতে দুটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য রয়েছে, যার ফলে কিছুটা অস্পষ্টতা দেখা দিচ্ছে। প্রদত্ত লেখা অনুযায়ী, দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা মসজিদ দুটি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করতে পারে:
১. লালমনিরহাট দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা: রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত এই আলিয়া মাদ্রাসাটি ১৯৬৫ সালের ১ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয়। মরহুম আব্দুর নাছীর (পীর সাহেব) এর অনুমতিক্রমে তার মুরিদ আজগর আলী এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটি দাখিল ও আলিম স্তরে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবং কামিল (মাস্টার্স) স্তরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে। এখানে দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল (হাদিস বিভাগ) স্তরের শিক্ষা প্রদান করা হয়। দাখিল ও আলিম স্তরে বিজ্ঞান বিভাগও রয়েছে। মাদ্রাসায় ৪টি ভবন (যার মধ্যে দুটি চারতলা) এবং একটি দোতলা মসজিদ রয়েছে। অফিস কক্ষ, শ্রেণি কক্ষ, বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরি, শিক্ষক মিলনায়তন, কম্পিউটার ল্যাব, ছাত্রীদের নামাজ ঘর ও কমরুম ইত্যাদি সুবিধাও রয়েছে।
২. দারুল উলুম আহসানিয়া কামিল মাদ্রাসা (নারিন্দা, ঢাকা): পুরাতন ঢাকা শহরের গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দায় অবস্থিত এই আলিয়া মাদ্রাসাটি ১৮৭১ সালে ক্বেবলা শাহ আহসানুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বর্তমানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কামিল মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি প্রথমে একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন পর্যায়ে দাখিল, আলিম, ফাযিল এবং কামিল শ্রেণি চালু হয়। মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম ক্লাস বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক পরিচালিত হয়। এই মাদ্রাসা ও হযরত আহসানুল্লাহ রহ. কমপ্লেক্সের অধীনে সারা বাংলাদেশে ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মাদ্রাসায় ৪১ জন শিক্ষক এবং ৬০০ এর অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ৯ তলা ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
উভয় মাদ্রাসাই ইসলামি শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং তাদের নিজ নিজ স্থানে ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। প্রদত্ত লেখা থেকে ঠিক কোন দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা মসজিদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। অতএব, স্পষ্টতা অর্থে প্রশ্নটিতে মাদ্রাসার অবস্থান স্পষ্ট করে উল্লেখ করা প্রয়োজন।